বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শেখ ফজলে নূর তাপস
বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শেখ ফজলে নূর তাপস

আগে কেউ পারেনি, এবার স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত করছি: মেয়র তাপস

বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল ভরাট ও দখল করার আর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, ‘এখানে শুধু খনন নয়, আমরা তার সঙ্গে সঙ্গে সীমানা নির্ধারণ এবং স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত করছি। এ নিয়ে হাইকোর্ট ডিভিশনের রায় ছিল। কিন্তু কোনো সংস্থা আগে এটা করতে পারেনি।’

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীতে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পরিষ্কার ও খনন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শেখ ফজলে নূর তাপস। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল উদ্ধার প্রসঙ্গে মেয়র তাপস বলেন, ‘দায়িত্বটা নিয়ে আমরা একে একে খুব সুন্দরভাবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় এখন খনন করছি। তার সঙ্গে সঙ্গে দখলমুক্ত ও সীমানা নির্ধারণ করছি এবং একই সঙ্গে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকল্প প্রণয়নের কাজও আরম্ভ করছি।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ‘আমরা দুই-তিন বছরের মধ্যে পূর্ণ প্রকল্পটা বাস্তবায়ন করতে পারলে ঢাকার দৃশ্যপটের পরিবর্তন হয়ে যাবে। নদীমুখী ঢাকার যে আবির্ভাব, যে গোড়াপত্তন, তা আবার দৃশ্যমান হবে।’

এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র শেখ ফজলে নূর বলেন, ‘এডিস মশা নিধনের জন্য আমাদের কাজ চলমান। যে কারণে গতকাল পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে মাত্র ৩৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আমরা মনে করি যে এটা আমাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

মৌসুমের পরেও এডিস এবং মৌসুমের আগে কিউলেক্স মশার বিস্তার নিয়ে আরও কার্যকর গবেষণা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র। প্রয়োজনে এ ধরনের গবেষণায় সহযোগিতা করা হবে জানান মেয়র তাপস। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়গুলো নিয়ে আরও বেশি গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। সে জন্য যদি কোনো বরাদ্দ প্রয়োজন হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তা দিতেও প্রস্তুত আছে। কারণ, আমরা ঢাকাবাসীকে মশক নিয়ন্ত্রণের সুফল পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।