পণ্য নিয়ে আসা ফ্রিজিংভ্যানের সামনে গ্রাহকেরা
পণ্য নিয়ে আসা ফ্রিজিংভ্যানের সামনে গ্রাহকেরা

প্রাণিসম্পদের উদ্যোগ: গরুর মাংসে আগ্রহ বেশি, মুরগিতে কম

গরুর মাংস কারও কাছেই এক কেজির বেশি বিক্রি করা হচ্ছিল না। তবু দুই ঘণ্টার কম সময়েই ১০০ কেজি মাংস বিক্রি হয়ে যায়। অথচ ৭০ কেজি ড্রেসড (চামড়া ছাড়া) ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতে সময় লাগল তিন ঘণ্টা।

আজ শুক্রবার ছুটির দিন রাজধানীর খামারবাড়ি মোড়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ ফ্রিজিং ভ্যানে করে বাজারমূল্যের চেয়ে কিছুটা কমে মাংস বিক্রি করার এ চিত্র দেখা যায়।

অধিদপ্তর গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস ৯৪০ টাকা ও ড্রেসড (চামড়া ছাড়া) ব্রয়লার মুরগি ৩৪০ টাকা এবং দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতিটি ১০ টাকায় বিক্রি করছে।

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে রাজধানীর ২০টি স্থানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। আজ ছিল এ কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিন। আধা ঘণ্টা দেরি করে খামারবাড়ি মোড়ে আজ সকাল সাড়ে সাতটায় এ কার্যক্রম শুরু হয়।

অধিদপ্তর গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস ৯৪০ টাকা ও ড্রেসড (চামড়া ছাড়া) ব্রয়লার মুরগি ৩৪০ টাকা এবং দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতিটি ১০ টাকায় বিক্রি করছে।

আজ খামারবাড়ি মোড়ের ভ্যানে ১০০ কেজি গরুর মাংস, ৭০ কেজি মুরগির মাংস, ৭ কেজি খাসির মাংস, ২ হাজার ২০০ ডিম ও ১৭০ লিটার দুধ আনা হয়। এর মধ্যে খাসির মাংস শেষ হয় ৪০টি মিনিটে। এরপর গরুর মাংস, দুধ ও ডিম শেষ হয়। সবার শেষে মুরগির মাংস।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্যান থেকে কিনলে বাজারদরের চেয়ে প্রতি কেজি গরুর মাংসে ৮০ থেকে ১১০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। কিন্তু ব্রয়লার মুরগি কিনলে সাশ্রয় হয় নামমাত্র। এ কারণে মুরগির চেয়ে ক্রেতাদের গরুর মাংসের প্রতি আগ্রহ বেশি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা বলছেন, রোজায় গরুর মাংসে আগ্রহ বেশি থাকে, যা দ্রুত বিক্রি হওয়ার আরেকটি কারণ।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্যান থেকে কিনলে বাজারদরের চেয়ে প্রতি কেজি গরুর মাংসে ৮০ থেকে ১১০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। কিন্তু ব্রয়লার মুরগি কিনলে সাশ্রয় হয় নামমাত্র। এ কারণে মুরগির চেয়ে ক্রেতাদের গরুর মাংসের প্রতি আগ্রহ বেশি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আবার রোজায় গরুর মাংসে আগ্রহ বেশি থাকে, যা দ্রুত বিক্রি হওয়ার আরেকটি কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা।

রাজধানীর শুক্রাবাদ এলাকা থেকে খামারবাড়ি আসেন বৃদ্ধা রওশন আরা। তিনি এক কেজি গরুর মাংস, দুই লিটার দুধ, এক ডজন ডিম কেনেন। রওশন বলেন, রমজানে গরুর মাংস লাগে। তাই এটা আগে কিনলাম। আর টাকা নাই, থাকলে মুরগির মাংস কিনতাম।

মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকার বাসিন্দা সিএনজিচালক নুর ইসলাম বলেন, আমার পক্ষে এত টাকা দরে মুরগির মাংস কেনা সম্ভব না। তাই ডিম ও দুধ কিনলাম।

খামারবাড়িতে বিক্রয় কার্যক্রম দেখভাল করার দায়িত্বে ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা এই কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছি। কোন পণ্যটা মানুষ বেশি কিনছেন, কোনটা কম কিনছেন, তা পর্যালোচনা করা হবে।’

যে ২০টি স্থানে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে, সেগুলো হলো নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি, খামারবাড়ি, আজিমপুর মাতৃসদন, গাবতলী, দিয়াবাড়ি (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি, ৬০ ফুট রোড, খিলগাঁও (রেলক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আবদুল গণি রোড), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), আরামবাগ, রামপুরা, কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বছিলা, হাজারীবাগ (সেকশন), লুকাস মোড় (নাখালপাড়া), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা) ও কামরাঙ্গীর চর।

২০টি ফ্রিজিং ভ্যানে করে এসব এলাকায় আজ গরুর মাংস ১ হাজার ২০০ কেজি, খাসির মাংস ৪০ কেজি, মুরগির মাংস এক হাজার কেজি, ডিম ২৫ হাজার ও দেড় টন দুধ দেওয়া হয়েছে। গরু, খাসি ও মুরগির মাংস আধা কেজির প্যাকেট করা হয়েছে। ডিম যত খুশি কিনতে পারছেন ক্রেতারা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ রেয়াজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, রোজার প্রথম দিন ও ছুটির দিন বিবেচনায় নিয়ে আজ পণ্য দেওয়া হয়েছে। আজকের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আগামীকাল শনিবার পণ্য দেওয়া হবে।