বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী ও যুবদল নেতা কাজী মনসুর আলমের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
আজ বুধবার রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহমেদ বিশ্বাস।
ওসি ফেরদাউস আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ট্রেনে আগুন দিয়ে নাশকতা ও হত্যার’ অভিযোগে করা মামলায় ডিবির হাতে গ্রেপ্তার বিএনপির দুই নেতাকে তিন দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার তাঁদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আজ শুনানি শেষে আদালত তাঁদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
রাজধানীর গোপীবাগে ৫ জানুয়ারি রাত নয়টার দিকে আগুনে আন্তনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি কোচ পুড়ে যায়। ট্রেনটি যশোর থেকে ঢাকায় আসছিল। ঘটনার পরদিন ৬ জানুয়ারি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ‘ট্রেনে আগুন দিয়ে নাশকতা ও হত্যার’ অভিযোগ এনে ঢাকা রেলওয়ে থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করে। একই দিনে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
ডিবি দাবি করে, ট্রেনে আগুনের ঘটনার সঙ্গে ওই সাতজনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী ও যুবদল নেতা কাজী মনসুর আলম।
ট্রেনে আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন আবু তালহা (২৬), চন্দ্রিমা চৌধুরী (২৮), এলিনা ইয়াসমিন (৪০) ও নাতাশা জেসমিন (২৫)। মরদেহগুলো এমনভাবে পুড়ে গেছে, দেখে চেনার উপায় নেই কোনটি কার মরদেহ। যে কারণে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। মরদেহ শনাক্তের জন্য নিহত চারজনের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডি। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল পেতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। চারজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে সংরক্ষণ করা হয়েছে।