গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ২০১৬ সালের ১ জুলাই জঙ্গি হামলায় নিহত জাপানের সাত কর্মকর্তাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্মরণ করা হয়েছে। আজ বুধবার রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত মেট্রোরেল এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে (এমইআইসি) জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
নিহত ওই সাত জাপানি নাগরিক জাইকার কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁরা সে সময় ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছিলেন।
স্মরণসভায় জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হারা শোহেই বলেন, ‘মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার আট বছর পার হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে শ্রম ও মূল্যবান সময় দেওয়া মানুষদের হারিয়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা।’
মেট্রো প্রকল্পে নিহতদের অবদানের প্রসঙ্গ টেনে শোহেই বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়নে জাইকা তাঁদের অবদান কখনোই ভুলবে না। এখন যাঁরা এই প্রকল্পে কাজ করছেন, তাঁদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
জাইকার এই কর্মকর্তা বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা মেট্রো লাইন ৬ চালু হয়েছে। এটা ঢাকাবাসীর জন্য আশীর্বাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ যাত্রী এই রুট ব্যবহার করছেন। ঢাকা মেট্রো বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতীক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের বিকাশ ও আন্তর্জাতিক মহলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে জাইকা।
বাংলাদেশ সরকার, জাপান সরকার ও জাপানের তিনটি পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান—আলমেক করপোরেশন, ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্টস গ্লোবাল ও কাতাহিরা অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্টারন্যাশনাল আজকের স্মরণসভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে।
স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল/ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার কুসাকাবে হিদেকি, কাতাহিরা অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট নাকামুরা তোমোহিকেং, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিক উইং) তৌফিক হাসান, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী।