অনুমোদন ছাড়াই ভবনের ছাদে রেস্তোরাঁ ও রান্নাঘর তৈরি এবং গ্যাসের সিলিন্ডারে লিকেজ থাকায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতালটি পরিদর্শন করে এই অসংগতি পেয়ে জরিমানা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ও সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে সরাসরি ল্যাবএইড হাসপাতালে ছাদে গিয়ে রান্নাঘর পরিদর্শন করেন। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান, গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ রয়েছে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ল্যাবএইডের প্রতিনিধিদের বলেন ভবনের নকশা দেখাতে। ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয় অনুমোদন নিয়েই তাঁরা ছাদে রেস্তোরাঁ ও রান্নাঘর করেছেন।
এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে তাঁরা তা নিয়ে আসেন। পরে ওই নথিতে দেখা যায় ছাদে রেস্তোরাঁ করার কোনো অনুমতি নেই। রাজউকের নকশায় ছাদে কোনো অবকাঠামো নেই। পরে হাসপাতালটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ছাদে একটা রেস্তোরাঁ আছে। রান্নাঘর আছে। রাজউকের নকশায় ছাদ ফাঁকা জায়গা। রান্নাঘরের পাশে ব্যালকনিতে সিলিন্ডার রেখে দিয়েছে। সেখানে একটা সিলিন্ডার লিকেজ অবস্থায় পাওয়া গেছে। এসব অসংগতির জন্য দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অন্য এলাকায় ছাদে রেস্তোরাঁ পাওয়ার পর তা বন্ধ করে দেওয়া বা ভেঙে দেওয়ার নজির আছে। তাহলে এটি বন্ধ করা হবে না কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটা একটা হাসপাতাল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসপাতাল এসেছেন, এই সংবাদে হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে চলে আসেন। জরিমানা করার পর হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাউদ ইব্রাহিম সাংবাদিকদের বলেন, যদি কোনো অসংগতি থাকে তাহলে তাঁরা তা ঠিক করে নেবেন।
একই ভ্রাম্যমাণ আদালত গ্রিন রোড এলাকায় বৈশাখী রেস্তোরাঁ, পিৎজা গ্যারেজ ও বাবু ল্যান্ড নামের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এই তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করার বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের কারও ফায়ার লাইসেন্স ছিল না, কারও অগ্নি নির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। আবার কারও ফায়ার এক্সটিংগুইশার অকার্যকর ছিল।