রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে পলিথিনের কারখানায় অভিযানে গিয়ে শ্রমিকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এমন পরিস্থিতিতে একপর্যায়ে অভিযান স্থগিত করে ফিরে আসতে হয় তাঁদের। আজ বুধবার দুপুরে চকবাজারের ইসলামবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরিবেশ অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অভিযানটি পরিচালিত হয় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদের নেতৃত্বে। এ অভিযানে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ অংশ নেয়। এ সময় ৩টি কারখানার বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সিলগালা করা হয় এবং ২ হাজার ৪৬০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চকবাজারের ইসলামবাগ এলাকার একটি ভবনে অভিযান চালানো হয়। গিয়ে দেখা যায়, ভবনটি তালাবদ্ধ। এরপর তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, ভবনটির নিচতলা ও দোতলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করা হচ্ছিল। পরে তিনটি কারখানা সিলগালা করা হয়। এই কারখানাগুলোর কোনো নাম নেই। এগুলোর কোনোটিরই বৈধতা নেই, অনুমতি নেই। এসব কারখানার মালিক একজন নাকি একাধিক, সেটিও জানা সম্ভব হয়নি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভাষ্য, এটি একটি যৌথ অভিযান ছিল। অভিযান শুরুর পর চকবাজার এলাকার সড়কে শ্রমিকেরা এসে বিভিন্ন দাবি জানাচ্ছিলেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। শ্রমিকেরা বলছিলেন, কারখানা বন্ধ হলে তাঁরা কী করবেন। তখন সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত ব্যক্তিরা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আপাতত অভিযান স্থগিত রাখার অনুরোধ করেন। এরপর পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান স্থগিত রেখে ফিরে আসেন। সেখানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ্য, ৩ নভেম্বর থেকে পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাতের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে।