খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, নাচ, গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো বা ক্রয়–বিক্রয় করা যাবে না। এ ছাড়া রাস্তার মোড়, উড়ালসড়ক ও প্রকাশ্যে স্থানে কোনো ধরনের সভা-জমায়েত বা উৎসবও বন্ধ থাকবে।
নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে ১৪ দফা নির্দেশনা জারি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনার কথা উল্লেখ রয়েছে।
ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৩১ ডিসেম্বর (রোববার) সন্ধ্যা ছয়টার পর বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন পরিচয় দেওয়া সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রাত আটটার মধ্যে স্ব স্ব এলাকায় ফিরতে বলা হয়েছে। রাত আটটার পর প্রবেশের ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত আটটার পর বহিরাগত কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে ওই এলাকার বাসিন্দারা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) ও মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয়পত্র দেখানো সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে যাঁরা এসব এলাকায় থাকেন না, তাঁদের ওই এলাকায় না যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
এদিকে হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ছয়টার পর কোনো সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না। কোনো যানবাহন থামিয়ে অথবা পার্কিং করেও কেউ অবস্থান করতে পারবেন না বলে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
ডিএমপির পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনাও আরও বলা হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টার পর ঢাকা মহানগরীর কোন বার খোলা রাখা যাবে না। আবাসিক হোটেলগুলো সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। আর ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর পাঁচটা পর্যন্ত মহানগরের আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।