মারধর
মারধর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে দোকানকর্মীকে মারধরের অভিযোগ

রাজধানীর পলাশী এলাকায় ফাস্টফুডের দোকানের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ওই নেতা দাবি করেছেন যে একটু কথা-কাটাকাটি, ধাক্কাধাক্কি ও টানাটানি হয়েছে।

ঢাকেশ্বরী মন্দির সড়কের একটি ফাস্টফুডের দোকানে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম নূর উদ্দিন আহমেদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের ছাত্র নূর উদ্দিন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে থাকেন।

ফাস্টফুডের দোকানের অভিযোগকারী কর্মচারী খায়রুল মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় দোকানে এসে চারটি বার্গার খাওয়ার পর আরও বার্গারের অর্ডার দেন নূর উদ্দিন। আমি তাঁকে একটু বসতে বলি। বসতে বলাটা তাঁর পছন্দ হয়নি। পরে তিনি বন্ধুদের নিয়ে আমাকে চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। রাস্তায় ধরে নিয়েও আমাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। মাথা, ঘাড়, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আমি অনেক আঘাত পেয়েছি। মারধরের পর বিল না দিয়েই নূর উদ্দিন ও তাঁর সহযোগীরা চলে যান৷’

তবে খায়রুলকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন নূর উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়ই ওই দোকানে বার্গার খেতে যাই। গতকালও বার্গার অর্ডার করি। ১০-১৫ মিনিট বসে থাকার পর আবার জিজ্ঞেস করি যে আর কতক্ষণ লাগবে? তখন বলা হয়, “আরেকটু সময় লাগবে, বসুন।” আমরা বসে ছিলাম।’ নূর উদ্দিনের ভাষ্য, ‘আধা ঘণ্টা বসে থাকার পর আমি তাঁকে (দোকানের কর্মচারী) আবারও জিজ্ঞেস করি, আমাদের খাবারটা কতদূর? তখন তিনি খুব রাগান্বিত হয়ে আমাকে বলেন, “বসতে বলেছি, বসেন। দেরি হবে।” আমি এর প্রতিবাদ করে বলি, তুমি আমার সঙ্গে এভাবে কেন কথা বলছ? এ সময় একটু কথা-কাটাকাটি, ধাক্কাধাক্কি ও টানাটানি হয়। তাঁকে কোনো মারধর করা হয়নি। আশপাশে পরিচিত যাঁরা ছিলেন, তাঁরা তাঁকে মারতে চাইলেও আমি মারতে দিইনি। কিছুক্ষণ পর দোকানের মালিক এসে বলেন, “তাঁর (কর্মচারী) পক্ষ থেকে আমি দুঃখিত।” মালিকের সামনেও ওই কর্মচারী আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন৷’

তবে ওই ফাস্টফুড দোকানের মালিক মো. মনিরের বক্তব্যের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা নূর উদ্দিনের বক্তব্যের মিল পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘বার্গার প্রস্তুত করতে একটু সময় লাগবে, এ কথা বলায় নূর উদ্দিন আমাদের কর্মচারী খায়রুলকে মারধর করেছেন। পরে হল থেকে আরও বেশ কয়েকজনকে নিয়ে আসেন তিনি। আমি তাঁদের সবার কাছে দুঃখপ্রকাশও করি। তারপরও খায়রুলকে আমার সামনে থেকে ধরে নিয়ে রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধর করা হয়।’

নূর উদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এ বিষয়ে জানতে আজ সোমবার বিকেলে তানভীরের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।