মালিকপক্ষের আশ্বাসে বাসে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে রাজধানীর বনানীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন। আগামী বৃহস্পতিবার মালিকপক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা বসে যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ করবেন—এমন আশ্বাসে আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে সড়ক ছেড়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আড়াই ঘণ্টা আন্দোলনের পর সড়ক ছেড়ে দিল তারা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মফিজুর রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার দুপুরে মালিকপক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা একসঙ্গে বনানী বিদ্যানিকেতনে বসবেন। সেই বৈঠকে যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ করা হবে।
ঢাকা চাকা পরিবহনের পরিচালনা পরিষদের প্রধান নির্বাহী দেওয়ান কুতুবউদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০ টাকা ভাড়া নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সবাই মিলে বসে যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ করা হবে।
‘সিন্ডিকেটের আস্তানা ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’—এমন স্লোগান দিয়ে বনানীর কামাল আতাতুর্ক সড়কে অর্ধেক বাসভাড়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তারা আজ দুপুর ১২টার দিকে কাকলী থেকে গুলশান-২ যাওয়ার পথে এ সড়কে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা ‘হাফ পাস চাই’, ‘সিন্ডিকেট চলবে না’, ‘হাফ পাস ভাড়া নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দেয়।
সিন্ডিকেটের বিষয়ে জানতে চাইলে বনানী বিদ্যানিকেতনের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব প্রথম আলোকে বলে, ‘কাকলী থেকে নতুনবাজার পর্যন্ত দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার।
এখানে সরকার নির্ধারিত ভাড়া হওয়ার কথা ১০ টাকা। সেখানে গুলশান চাকা এবং ঢাকা চাকা দুটি পরিবহনই ভাড়া নির্ধারণ করেছে ৩০ টাকা আর শিক্ষার্থীদের ভাড়া ২৫ টাকা। অথচ শিক্ষার্থীদের ভাড়া হওয়ার কথা ছিল পাঁচ টাকা। সিন্ডিকেট করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাঁচ গুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেটের অবসান চাই।’