পুলিশ সংস্কারে শিগগির একটি প্রাথমিক কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। কোন প্রক্রিয়ায়, কীভাবে ও কাদের অন্তর্ভুক্ত করে পুলিশ সংস্কার করা হবে, তা এই কমিটি নির্ধারণ করবে বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলারের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে দুই পক্ষের মধ্যে পুলিশ সংস্কার, বন্যা পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, পুলিশ সংস্কারের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো কমিটি গঠিত হয়নি। তবে শিগগিরই পুলিশ সংস্কারের লক্ষ্যে প্রাথমিক কমিটি গঠন করা হবে। প্রাথমিক কমিটি কোন প্রক্রিয়ায়, কীভাবে ও কাদের অন্তর্ভুক্ত করে সংস্কার করা হবে, তা নির্ধারণ করবে।
ইউএনডিপির প্রতিনিধিদলকে উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক কমিটির সুপারিশ ও মতামতের ভিত্তিতে প্রক্রিয়াটিকে এগিয়ে নেওয়া হবে এবং পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে। ইউএনডিপি ও আগ্রহী অন্যান্য দেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করে তাদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। তবে যেসব মতামত ও পরামর্শ বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সংগতিপূর্ণ হবে, কেবল সেগুলোই পরবর্তী পদক্ষেপ ও বাস্তবায়নের জন্য বিবেচিত হবে।
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কার এমনভাবে হওয়া উচিত, যাতে জনগণ পুলিশের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারে এবং কোনো সমালোচনা না হয়। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে এ সংস্কার বাস্তবায়ন করা দরকার। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘ প্রয়োজনীয় কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
বৈঠকে বাংলাদেশের বন্যার্তদের পুনর্বাসনে ইউএনডিপি সমীক্ষা চালাচ্ছে বলে জানান ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি। এ কাজে ইউএনডিপির পক্ষ থেকে ১০০ কোটি ডলার ব্যয় করা হবে বলেও জানান তিনি।