পান্না কায়সারের শোকসভায় বক্তারা

দেশ সাংস্কৃতিকভাবে পিছিয়ে গেছে

বাংলা একাডেমিতে পান্না কায়সারের শোকসভার আয়োজন করা হয়। ০৮ সেপ্টেম্বর, ঢাকা
ছবি: প্রথম আলো

দেশ সাংস্কৃতিকভাবে অনেকখানি পিছিয়ে গেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কতটুকু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে উঠছে সেটা এখন বড় প্রশ্ন।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে লেখক, গবেষক ও সংগঠক শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সারের প্রয়াণে আয়োজিত শোকসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর এই শোকসভার আয়োজন করে।

শোকসভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, পান্না ভাবির সব সাধনা, পরিশ্রম নিবেদিত ছিল বিশ্বমানবতার ও সভ্যতার মুক্তির জন্য। তিনি সে স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর স্বপ্ন সবাই মিলে বাস্তবায়ন করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের আলোকে গড়ে তোলার জন্য পান্না কায়সার বেঁচে থাকবেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কতটুকু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বড় হচ্ছে, সেটা একটা বড় প্রশ্ন সবার সামনে। খেলাঘর আন্দোলন আমাদের এগিয়ে নিতে হবে এ কারণে যে এর মূল উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলা।’

পান্না কায়সারের ছেলে অমিতাভ কায়সার বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হলেও মায়ের যুদ্ধ শেষ হয়নি।’ শিশুদের উদ্দেশে অমিতাভ কায়সার বলেন, ‘পান্না কায়সার চলে গেছেন, কিন্তু মশাল তোমাদের কাছে দিয়ে গেছেন। এই মশাল তোমাদের পথ দেখাবে। তোমাদের মধ্য থেকে অনেক পান্না কায়সার তৈরি হবে।’

পান্না কায়সারের মেয়ে ও অভিনেত্রী শমী কায়সার বলেন, ‘খেলাঘরের ৬৮তম জন্মবার্ষিকীতে আম্মা বললেন, খেলাঘরে এখন মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ছেলেমেয়ে তৈরি হচ্ছে শমী? আমাদের ঘরে ঘরে কি আসলে মুক্তিযুদ্ধের ছেলেমেয়ে তৈরি হচ্ছে? আমি বলি, না, জামায়াতপন্থী ছেলেমেয়ে তৈরি হচ্ছে। আমরা সাংস্কৃতিকভাবে অনেকখানি পিছিয়ে গেছি।’

শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহসভাপতি মাখদুমা নার্গিস। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন ভূঁইয়া।