এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল ৮০ থেকে ৪০০ টাকা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ছবি: ওবায়দুল কাদেরের ফেসবুক থেকে নেওয়া

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল নির্ধারণ করেছে সরকার। যানবাহনভেদে এ টোল সর্বনিম্ন ৮০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা ধরা হয়েছে। আজ রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের টোলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সেতুমন্ত্রী জানান, আগামী ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়া হবে। এই সাড়ে ১১ কিলোমিটারের জন্য টোল ধরা হয়েছে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও মিনিট্রাক ৮০ টাকা, বাস ও মিনিবাস ১৬০ টাকা, মাঝারি ট্রাক ৩২০ এবং বড় ট্রাক ৪০০ টাকা।

এক্সপ্রেসওয়েটিতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। সিএনজিচালিত অটোরিকশার মতো দুই ও তিন চাকার কোনো যানবাহন এই উড়ালসড়কে চলতে পারবে না। মোটরসাইকেল আপাতত বন্ধ থাকবে।

ঢাকা শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য ২০১১ সালের জুন মাসে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছিল। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) আওতায় প্রকল্পটি ২০১৬ সালে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু উড়ালসড়কের নকশা বদল, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা, অর্থের সংস্থানসহ নানা জটিলতায় নির্মাণকাজ শেষ করার সময়সীমা পাঁচবার পিছিয়েছে।

প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে উড়ালসড়কের নির্মাণকাজ শেষ করার প্রথম সময়সীমা ছিল ২০১৭ সাল। সেটি পিছিয়ে হয় ২০১৮। তারপর আবারও পিছিয়ে হয়েছে ২০২২ সাল। এই সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার চতুর্থবার সেই সময়সীমা পিছিয়ে দাঁড়ায় ২০২৩ সালের জুনে। তবে সর্বশেষ পুরো প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের জুনে শেষ করার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে শুরুতে উড়ালসড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৮ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকায়। এরপর কাজের ধীরগতির সঙ্গে বাড়তে থাকে প্রকল্পের মেয়াদ। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বশেষ ট্যাক্স, ভ্যাটসহ প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৬ হাজার কোটি ৭০ লাখ ৭ হাজার ১৫৩ টাকা।

ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড হচ্ছে বিনিয়োগকারী কোম্পানি। এতে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের ৫১ শতাংশ, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।