রাজধানীর তুরাগ এলাকায় দুর্বৃত্তের নিক্ষেপ করা দাহ্য পদার্থে মা ও মেয়ের শরীর ঝলসে গেছে। দগ্ধ মায়ের গলা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে স্বর্ণের চেইন।
বৃহস্পতিবার সকালে তুরাগের কামারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন সাথী রানী হালদার (৩৬) ও তাঁর দুই বছরের মেয়ে বিজয়িনী হালদার। আহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহত মা ও মেয়ে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সাথী রানীর শরীরের ১৩ শতাংশ ও মেয়ে বিজয়িনীর শরীরের ১৫ শতাংশ ঝলসে গেছে।
বিজয়িনী হালদারের চাচা অশ্বিনী হালদার বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাবি মেয়ে বিজয়িনীকে নিয়ে বাড়ির অদূরে সেলুনে তার চুল কাটাতে যান। ফেরার সময় এক যুবক তাঁদের পেছনে পেছনে আসতে থাকেন। তাঁরা বাসার গেটের সামনে পৌঁছালে ওই যুবক তাঁদের কাছে জানতে চান, ‘এখানে রফিক নামের কেউ আছে?’ এর পরপরই সে নিজের হাতে থাকা দাহ্য পদার্থ মা ও মেয়ের দিকে ছুড়ে মারে। এরপর সাথীর গলায় থাকা আট আনা পরিমাণের স্বর্ণের চেইন নিয়ে ওই যুবক পালিয়ে যান।
দগ্ধ অবস্থায় মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজধানীর উত্তরায় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরবর্তী সময়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।
অশ্বিনী হালদার জানান, বাসার বাইরে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত যুবককে শনাক্ত করা গেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
দগ্ধ ব্যক্তিদের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার বনাই নগর ফরিদপুর থানার ডেমড়া গ্রামে। তাঁরা বর্তমানে তুরাগ কামারপাড়া মার্কেট এলাকায় ভাড়া থাকেন।
সাথীর স্বামী জয় কুমার হালদার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সাথী রানী গৃহিণী ও তিন কন্যার জননী।