১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলের ‘ষড়যন্ত্র বন্ধ’ এবং ওই শাসনবিধি বহাল রাখার দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ হয়েছে
১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলের ‘ষড়যন্ত্র বন্ধ’ এবং ওই শাসনবিধি বহাল রাখার দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ হয়েছে

১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বহালের দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন

১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলের ‘ষড়যন্ত্র বন্ধ’ এবং ওই শাসনবিধি বহাল রাখার দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসটিতে রাজু ভাস্কর্যে জুম্ম শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজের আয়োজনে এ মানববন্ধন হয়।

আজকের মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকায় জুম্ম নাগরিক সমাজের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি অজয় চাকমা। তিনি বলেন, আমরা এখানে প্রতিবাদের কথা, বেদনার কথা বলতে এসেছি। ব্রিটিশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগুলোর অস্তিত্বের প্রতি সম্মান রেখে ১৯০০ সালের শাসনবিধি তৈরি করেছিলেন; কিন্তু এই শাসনবিধির বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র, সেটা তো এই সরকারের জন্যই লজ্জাজনক।

সমাবেশে প্রকৌশলী ক্যসাচিং মারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পেছনে ১৯০০ সালের শাসনবিধির চেতনা রয়েছে। আমরা আশা রাখি, সরকার আমাদের ন্যায্য চাহিদা ও সুবিধার কথা ভেবে এ বিষয়ের ওপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

মানবাধিকারকর্মী পল্লব চাকমা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী যেখানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করছে, ঠিক সে সময়ে আমাদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত করতে নানান ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আমাদের প্রায় সময় শুনতে হয়, আমরা নাকি বিচ্ছিন্নবাদী। বর্তমানে আমাদের অস্তিত্বের হাতিয়ার শাসনবিধিকে বাতিল করার যে ষড়যন্ত্র, এটি আমাদের দেশ থেকে বিতাড়নের ষড়যন্ত্র করছে। সরকার যদি এই ভুলটা করে, তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিপর্যয় ঘটবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ঢাকায় জুম্ম নাগরিক সমাজের তরুণ প্রতিনিধি সতেজ চাকমা সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।

আরও বক্তব্য দেন কুবলেশ্বর ত্রিপুরা, উৎপল দেওয়ান, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী ত্রিপুরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সুলভ চাকমা, বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ঢাকার সভাপতি ও ঢাবি শিক্ষার্থী দনওয়াই ম্রো, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের প্রতিনিধি লিটন ত্রিপুরা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক অং সুয়ে সিং মারমা। এ ছাড়া লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জ্যাকি হ্লা মারমা।