কামরাঙ্গীরচর থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না: মেয়র তাপস

কামরাঙ্গীরচর নাগরিক পরিষদের প্রতিনিধিরা আজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে দেখা করেন
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, কামরাঙ্গীরচর থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। এমনকি কামরাঙ্গীরচরে স্থাপনা নির্মাণে অনুমোদিত কোনো প্রকল্প নেই। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রের দপ্তরে কামরাঙ্গীরচর নাগরিক পরিষদ নামে একটি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মেয়র এ তথ্য জানিয়েছেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ শাখা থেকে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে এবং ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ওই এলাকার সবাইকে উচ্ছেদ করা হবে—এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে উচ্ছেদ ঠেকাতে মানুষ নানা কর্মসূচি পালন করেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় কী ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করতে চায়, তা আজকের মতবিনিময় সভায় মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি, কামরুল ইসলাম সরণি, ইনার সার্কুলার রিং রোড প্রতিষ্ঠাসহ সেখানে অন্যান্য উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন মেয়র।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠক শেষে নাগরিক পরিষদ প্রতিনিধিরা মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে সংস্থাটির উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এ ছাড়া প্রতিনিধিরা কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের সৃষ্ট বহুমাত্রিক গুজবের বিরুদ্ধে সজাগ থেকে তা প্রতিহত করবেন বলে মেয়রকে আশ্বস্ত করেন।

কামরাঙ্গীরচর নাগরিক পরিষদের সমন্বয়ক হাসান আহমেদ, সদস্যসচিব এস এম মওলাসহ সংগঠনটির ছয় সদস্য মতবিনিময় সভায় ছিলেন। মেয়রের সঙ্গে সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান সভায় উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের ১১ অক্টোবর কামরাঙ্গীরচরের লোহার ব্রিজ থেকে নিজামবাগ বেড়িবাঁধ পর্যন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সরণির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে মেয়র তাপস বলেছিলেন, ‘তুলনামূলক পিছিয়ে পড়া এলাকা কামরাঙ্গীরচরে পাঁচ তারকা হোটেল বানানো হবে। পরিকল্পিত আবাসন, কনভেনশন হল, ৫০ তলার নান্দনিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। বুড়িগঙ্গার তীর হয়ে চার লেনের সড়ক নির্মাণ করা হবে। এভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক নগরীতে পরিণত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’

মেয়রের এমন বক্তব্যের পর একটি পক্ষ খবর রটায়, পুরো কামরাঙ্গীরচর এলাকার বাড়িঘর ভেঙে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সেখানে নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় এমন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিবাদে বড় ধরনের সমাবেশ হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনও করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর সূত্র বলছে, কামরাঙ্গীরচর এলাকা নিয়ে এখনো সমীক্ষার কাজ চলছে। সমীক্ষা থেকে বোঝা যাবে, সেখানে কী ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা যায়।