গণপরিবহন ও জনপরিসরে ধর্ষণ-হত্যাসহ নারী ও মেয়েশিশুর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। বুধবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অগ্রভাগেও নারীরা ছিলেন। সেই নারীরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। দেশের ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠী নারী। তাঁদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ না হলে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, সম্প্রতি নারীর প্রতি ক্রমাগত সহিংসতা চলছে। এটি দেশের জন্য কালোদাগ হিসেবে চিহ্নিত হবে। নারীর প্রতি সংকটজনক এ পরিস্থিতি নারী আন্দোলন কর্মীদের হতাশ ও উদ্বিগ্ন করে।
পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে নারীদের জীবনকে স্থিতিশীল ও নিরাপদ করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মহিলা পরিষদের সভাপতি। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে নারীর প্রতি সহিংসতা, যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতনমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এর ফলাফল শুধু অর্ধেক জনগোষ্ঠীর নারী সমাজের ওপর বর্তাবে, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবি জানান তিনি।
এ সময় বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের সহসভাপতি মাখদুমা নার্গিস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা, ঢাকা মহানগরের লিগ্যাল এইড সম্পাদক শামীমা আফরোজ আইরিন, সদস্য প্রজ্ঞা লাবণী, ঢাকা ওয়াইডব্লিউসিএর শিক্ষার্থী মৌসুমী কীর্তনিয়া। মানববন্ধন পরিচালনা করেন মহিলা পরিষদের লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) দীপ্তি শিকদার।