ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ গুলি করার সময় এক বন্ধু ইমাম হাসান ভূঁইয়া তাইমেকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছে
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ গুলি করার সময়  এক বন্ধু  ইমাম হাসান ভূঁইয়া তাইমেকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছে

গুলিতে পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে নিহত: ৬ দিন রিমান্ডে এসআই শাহাদাত

নারায়ণগঞ্জের সরকারি আদমজীনগর এমডব্লিউ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমাম হাসান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত আলীকে ছয় দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

নিহত ইমাম হাসান রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে ছিলেন।

যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা মামলায় এসআই শাহাদাত আলীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ জুলাই কলেজছাত্র ইমাম হাসানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু মর্গে বিতর্কিত সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন শাহবাগ থানার এসআই শাহাদাত। ইমাম হাসানের দুই পায়ে দুই শতাধিক ছোট ছোট ছিদ্র ছিল। কিন্তু গুলির তথ্য সুরতহালে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

তবে মামলার এজাহারে বলা হয়, সুরতহাল প্রতিবেদনে গুলির কথা এড়িয়ে গেছেন আসামি শাহাদাত আলী। তবে মৃত্যুসনদে গুলিতে মৃত্যুর কথা উল্লেখ ছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান আদালতকে বলেন, মামলার আসামিদের বাঁচানোর জন্য ফরমায়েশি প্রতিবেদন তৈরি করেছেন এসআই শাহাদাত আলী।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, নির্বিচার পুলিশ শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যা করেছে। ইমাম হাসান একজন পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে। আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

এসআই শাহাদাত আলীর আইনজীবী আদালতকে বলেন, ইমাম হাসান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন শাহাদাত আলী। হয়রানির উদ্দেশ্যে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত শাহাদাত আলীর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে গত ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ীর কাজলা পদচারী–সেতুর কাছে মারা যান ইমাম হাসান।