সাভার থেকে মিরপুর হয়ে ভাটারা পর্যন্ত পথে মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উত্তরায় এই মেট্রোরেলের ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়নে জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী, মিরপুর ও গুলশান হয়ে ভাটারা যাবে এমআরটি লাইন-৫ (নর্দার্ন রুট)। পাতাল ও উড়াল মিলে এই পথের দৈর্ঘ্য মোট ২০ কিলোমিটার। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে আগামী জুলাইয়ে ডিপোর মাটি উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।
ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ডিএমটিসিএল। লাইন-৫ নর্দার্ন রুটের ডিপোর মাটি উন্নয়নকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা। এই কাজের জন্য জাপানের টোই এবং বাংলাদেশের স্পেকট্রামের (যৌথ) মধ্যে চুক্তি হয়েছে।
ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এমআরটি লাইন-৫ নর্দার্ন রুটের নির্মাণকাজ ১০টি ভাগে (প্যাকেজ) সম্পন্ন করা হবে। এর মধ্যে প্যাকেজ-১ ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন।
হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী পর্যন্ত এই মেট্রোরেল হবে উড়াল পথে। গাবতলী থেকে মিরপুর-১০, কচুক্ষেত, বনানী, নতুনবাজার পর্যন্ত হবে পাতাল পথে। আবার নতুনবাজার থেকে ভাটারা অংশ হবে উড়াল পথে।
এই মেট্রোরেলের পাতাল অংশে ৯টি ও উড়াল পথে পাঁচটি মোট ১৪টি স্টেশন থাকবে। প্রকল্পটির কাজ ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। এ প্রকল্পেও ঋণসহায়তা দিচ্ছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা।