রাজধানীর কদমতলীতে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে কদমতলীর জিয়া সরণির একটি বাসা থেকে ফাহমিদা ফারুকী (২৩) নামের ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফাহমিদার বাবা ওমর ফারুক অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। তিনি এমন অভিযোগ করে ফাহমিদার স্বামী আল ইমরান সাব্বিরসহ পাঁচজনকে আসামি করে শুক্রবার কদমতলী থানায় হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে সাব্বিরের বাবা, মা, বোন এবং ভগ্নিপতি রয়েছেন।
ওমর ফারুক জানান, দুই বছর আগে ইমরান ও ফাহমিদার বিয়ে হয়। তাঁদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই ফাহমিদাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন ইমরান ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
এদিকে পুলিশ বলছে, যে কক্ষ থেকে ফাহমিদার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তাঁর লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল। সুরতহাল প্রতিবেদনেও পুলিশ উল্লেখ করেছেন, ফাহমিদা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, লাশ দেখে হত্যা করা হয়েছে এমন আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন।