কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে একই পরিবারের পাঁচজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁরা হলেন জীবন মিয়া (৪০), তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগম (৩৫), এই দম্পতির মেয়ে তন্নিমা (১৫) এবং দুই ছেলে জিয়াদ (১০) ও সোয়াদ (৮)।
তাঁদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাথিয়ায় জানিয়ে জীবন মিয়া বলেন, পাঁচ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে পরিবারসহ কিশোরগঞ্জে যান। তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগম নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় গাউছিয়া এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সেখানে পরিবার নিয়ে থাকেন তাঁরা। সোমবার স্ত্রী–সন্তান নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ফেরার জন্য ট্রেনে ওঠেন। পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেলের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত তিন শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন রাতে ঢাকা মেডিকেলে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে চারজনের আঘাত ততটা গুরুতর নয়। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শিশু সোয়াদ বাঁ চোখে আঘাত পেয়েছে। চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি তার পরীক্ষাও চলছে।
এর আগে সোমবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ঢাকাগামী আন্তনগর এগারসিন্দুর ট্রেনে চট্টগ্রামগামী একটি মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে ১৮ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ‘সংকেত অমান্যের’ বিষয়টি উঠে এসেছে।