ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে হেনস্তা-মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। ঢাবির ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন তিনি।
ছাত্রীর ভাষ্য, জন্মদিন উপলক্ষে ছবি তোলার জন্য গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে তিনি ঢাবির টিএসসি এলাকায় গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে একজন পেশাদার আলোকচিত্রী ছিলেন। ছিলেন কজন বন্ধু। রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছবি তোলার একপর্যায়ে তাঁকে হেনস্তা-মারধর করেন ছাত্রলীগের এক কর্মী।
ছাত্রলীগের যে কর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁর নাম জিম নাজমুল। তিনি মাস্টারদা সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।
জিম সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম জামান খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অবশ্য মারিয়াম জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সে (জিম) আমার কর্মী নয়। ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কোনো নেতিবাচক কর্মকাণ্ড করার সুযোগ নেই।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, ছাত্রী যখন রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছবি তুলছিলেন, তখন সেখানে মোটরসাইকেলে করে দুজন আসেন। তাঁদের একজন জিম। আরেকজন মেহেদি। তাঁরা ছাত্রীসহ অন্যদের বহিরাগত বলে জেরা করতে থাকেন। এত রাতে ক্যাম্পাসে আসার কারণ জানতে চান। ছাত্রীর মুঠোফোন কেড়ে নেন। একপর্যায়ে ছাত্রীকে থাপ্পড় মারেন জিম।
ছাত্রী বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁরা (জিম ও মেহেদি) আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। আমাকে হেনস্তা করেন। প্রতিবাদ করলে আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন একজন (জিম)।’
ছাত্রীকে থাপ্পড় মারার কথা স্বীকার করেছেন জিম। তিনি বলেন, ‘এত রাতে ক্যাম্পাসে কী করেন, তা জানতে চাই। তখন ওই ছাত্রী আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তিনি আমাকে থাপ্পড় মারেন। আমিও তাঁকে থাপ্পড় দিই।’
জিমের উপস্থিতিতে রাতেই ঘটনাস্থলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। প্রক্টরিয়াল বডির এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি প্রক্টরকে জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’