রাজধানীর সিদ্দিকবাজার বিস্ফোরণের ঘটনায় মো. হাসান (৩২) নামের আরেক দগ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ জনে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এম আইউব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, হাসান আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ ছাড়া তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত ছিল।
নিহত মো. হাসানের শ্যালক জামাল হোসেন জানান, হাসানের বাবার নাম আবু আহমেদ সিদ্দিকী। তাঁদের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামে। হাসান সিদ্দিকবাজার ফুটপাতে স্কুল ব্যাগের ব্যবসা করতেন। তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তার, দুই ছেলে এক মেয়ের গ্রামের বাড়িতে থাকত।
৭ মার্চ বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানের বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে কুইন স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত সাততলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনটির বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা অনেকটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। দুই পাশ লাগোয়া দুটি ভবনের কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনার পর তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছিল, ভবনে থাকা তিতাস গ্যাসের সংযোগ ছিদ্র হয়ে জমা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পরিত্যক্ত লাইনের ছিদ্র থেকে বের হওয়া গ্যাস জমে ভবনের বেজমেন্ট ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।