রাজধানীর কদমতলীর জুরাইন এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দগ্ধ ব্যক্তিদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
দগ্ধরা ব্যক্তিরা হলেন আলতাফ সিকদার (৭০), তাঁর স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৫০), মেয়ে মুক্তা খাতুন (৩০), মুক্তার স্বামী আতাহার (৩৫) ও তাঁদের মেয়ে আফসানা (৫)।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে আলতাফের শরীরের ২ শতাংশ, মর্জিনার ৫ শতাংশ, মুক্তার ৪৫ শতাংশ, আতাহারের ৫৫ শতাংশ ও আফসানার ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের মধ্যে মুক্তা, আতাহার ও আফসানার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আলতাফের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার কচুয়া গ্রামে। তাঁর শ্যালক মো. মাহাবুব বলেন, আলতাফ জুরাইনের মাদবর বাজারের সলিমুল্লাহ রোডের একটি বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। তাঁর মেয়ে মুক্তা এক সপ্তাহ আগে বাবার বাসায় পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন। জুরাইন এলাকায় বেশির ভাগ সময় দিনের বেলায় গ্যাস থাকে না। তাই রাতেই রান্নার কাজ বেশি করা হয়। মুক্তা গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে রান্নাঘরে ঢোকেন। চুলা ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। এতে পাঁচজন দগ্ধ হন।
মাহাবুব আরও বলেন, তিনি যতটুকু জেনেছেন, গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ-আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, দগ্ধ পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে। ঘটনাটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ অবগত রয়েছে।