জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বেশি ভাড়া রাখছেন রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলচালকেরা। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ৫০ থেকে ১০০ এমনকি দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া গুনে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
আজ শনিবার সকালে কল্যাণপুর থেকে পান্থপথ আসতে ১০০ টাকার ভাড়ার জায়গায় ১৫০ টাকা নিয়েছেন এক চালক। মো. ইনতাজ আলী নামের ওই মোটরসাইকেলচালক প্রথম আলোকে বলেন, একজন যাত্রীকে নিয়ে আসেন তিনি। যাত্রীর কাছ থেকে তিনি ১৫০ টাকা রেখেছেন। আজকের আগে কল্যাণপুর থেকে পান্থপথ তিনি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় যাত্রী এনেছেন।
প্রায় দুই বছর ধরে ঢাকায় রাইড শেয়ারিং করা ইনতাজ আলী বলেন, ‘তেলের দাম বাড়তি। আমরা কী করব? ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়ালে মানা যায়। যা বাড়িয়েছে, তা নিয়মের মধ্যেই পড়ে না।’
মিরপুর থেকে কারওয়ানবাজারে রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া গুনে এসেছেন উজ্জ্বল হোসেন। অন্যদিন তিনি ১২০ টাকা দিয়ে আসেন। আজ তাঁকে দিতে হয়েছে ২৫০ টাকা।
অনেক চালক আবার ভাড়ায় না পোষানোয় যাত্রী নিচ্ছেন না। সকাল ৮টায় পান্থপথ এসে বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো যাত্রীকে নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হননি মো. মাজেদ আলী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১০ জনের বেশি যাত্রীকে ফিরিয়ে দিয়েছি। যাত্রীরা আগের ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়া দিতে চান। কিন্তু আমরা তো আগের ভাড়াতেই যাত্রী নিতে পারব না, সেখানে কম কীভাবে নেব? পরতা না পড়ায় এখন সব যাত্রী ছেড়ে দিয়েছি।’
আগের ভাড়ার চেয়ে কম টাকায় যাত্রী নিয়েছেন শহীদ মিয়া নামের এক মোটরসাইকেলচালক। তিনি বাড্ডা থেকে পান্থপথ এলাকার শমরিতা হাসপাতালে এক যাত্রীকে ১৩০ টাকায় নিয়ে আসেন। শহীদ মিয়া বলেন, ‘১৫০ টাকার নিচে আসতাম না। কিন্তু বসে ছিলাম। তা ছাড়া আগের কেনা তেল, তাই নিয়ে এসেছি। বাড়তি টাকায় নতুন তেল কিনলে কখনোই এত কম টাকায় ভাড়া মারতে পারব না।’