রাজধানীর খামারবাড়ি মোড়ে বাজারদরের চেয়ে কিছুটা কম দামে দুধ, ডিম ও মাংস কেনার জন্য সকাল সাড়ে সাতটা থেকে কেউ কেউ অপেক্ষায় ছিলেন। কেউ এসেছেন সকাল আটটায়। কিন্তু এসব পণ্য নিয়ে ফ্রিজিংভ্যান সকাল নয়টায় হাজির হওয়ার কথা থাকলেও রোজার প্রথম দিনেই তা এখানে আধা ঘণ্টা দেরি করে আসে।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে বাজারদরের চেয়ে কিছুটা কম দামে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। উদ্বোধনের পরই গতকাল রাজধানীর ২০টি স্থানে এসব বিক্রি শুরু হয়।
উদ্বোধনের পর প্রথম দিন আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার পর যখন বিক্রি শুরু করে তার আগেই খামারবাড়ি মোড়ে এসব কেনার জন্য ১৬ জন অপেক্ষায় ছিলেন।
রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া থেকে খামারবাড়ি এসব পণ্য কিনতে আসেন মিলি ইসলাম। তিনি গরুর মাংস, মুরগির মাংস ও ডিম নেবেন। তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে সাতটায় এসেছি, যেন তাড়াতাড়ি কিনে ফিরতে পারি। কিন্তু এখন দেখি ভ্যানই আসতে দেরি করছে। ভ্যান তাড়াতাড়ি আসলে আমাদের কষ্ট কম হতো।’
খামারবাড়ি মোড়ের ভ্যানের ক্যাশিয়ার মো. মোকাদ্দেস ইসলাম বলেন, ‘২০টি ভ্যানে পণ্য তোলা হয়েছে। এসব পণ্য তুলতে দেরি হয়েছে। তাই এখানে আসতেও দেরি হয়েছে।’
খামারবাড়ি মোড়ের ভ্যানে ১০০ কেজি গরুর মাংস, ৭ কেজি খাসির মাংস, ৭০ কেজি মুরগির মাংস, দুধ ১৭০ লিটার ও ২ হাজার ২০০টি ডিম আনা হয়েছে।
গরু, খাসি ও মুরগি আধা কেজি করেও কেনা যাচ্ছে। আধা কেজি গরুর মাংস ৩২০ টাকা, আধা কেজি খাসির মাংস ৪৭০ টাকা, আধা কেজি ড্রেসড (চামড়া ছাড়া) ব্রয়লার ১৭০ টাকা, ১ লিটার দুধ ৮০ টাকা ও এক ডজন ডিম ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আমিন উল্লাহ কিনেছেন এক ডজন ডিম, তিন লিটার দুধ, এক কেজি গরুর মাংস। তিনি বলেন, ‘যা চেয়েছি, তা–ই পেয়েছি।’
রাজধানীর যে ২০টি স্থানে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে সেগুলো হলো—নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি, খামারবাড়ি, আজিমপুর মাতৃসদন, গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি, ৬০ ফুট রোড, খিলগাঁও (রেলক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আবদুল গণি রোড), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), আরামবাগ, রামপুরা, কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বছিলা, হাজারীবাগ (সেকশন), লুকাস মোড় (নাখালপাড়া), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা) এবং কামরাঙ্গীর চর।