নিজেদের জ্ঞান অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে এবং যুক্তিতে দক্ষ হয়ে উঠতে বিতর্ক ভালো মাধ্যম। এই লক্ষ্যে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সেরা বিতার্কিকদের তুলে আনতে শুরু হয়েছে পুষ্টি-প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসব।
আজ শুক্রবার রাজধানীর পুরান ঢাকার সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে আঞ্চলিক পর্বের আয়োজন চলছে।
প্রতিযোগীদের শুভকামনা জানিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ নীলুম মৃ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারিক মনজুর বলেন, ‘বিতর্ক দিয়ে পরস্পরকে সহায়তার মাধ্যমে জ্ঞানকে এগিয়ে নেওয়া যায়। বিতর্কের শিক্ষা জীবনকে অনেক এগিয়ে নেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ে বিতর্ক রাখা হয়েছে, সামনে অন্য শ্রেণিতেও তা থাকবে।’
প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসান বলেন, ‘সৃজনশীল হতে হবে, প্রশ্ন করতে হবে। যুক্তি দিয়ে তর্ক করতে হবে।’ শিক্ষার্থীদের বর্তমান সময়কে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাদের বইপড়ার ওপর জোর দেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক নিয়ে নানা পরামর্শ ও প্রশ্নের উত্তর দেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি উত্তম রায়, প্রথম আলোর সহকারী বার্তাসম্পাদক রাশেদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সভাপতি সৈয়দ আশিক। আয়োজনটির সমন্বয় করছেন সাইদুজ্জামান রওশন।
পুষ্টি-প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করছে প্রথম আলো বন্ধুসভা। প্রচার সহযোগী হিসেবে আছে নাগরিক টেলিভিশন।
সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে আয়োজিত বিতর্ক পর্বে ১৫টি স্কুল অংশ নেয়। প্রতি স্কুল থেকে ৪ জন বিতার্কিক এবং কুইজের জন্য ৬ জন অংশ নিচ্ছে। এখান থেকে বিজয়ী দল জাতীয় পর্বের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।
দ্বিতীয়বারের মতো এই বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সারা দেশে ৩৫টি জেলা ও রাজধানীতে ৫টি আঞ্চলিক বিতর্ক উৎসব হচ্ছে। বিতর্ক হচ্ছে সনাতন পদ্ধতিতে।