বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা যে দাবি করেছে, সেটা সঠিক না বেঠিক, সত্য কি না, তা যাচাই করতে হবে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা যাচাই করবে। তথ্য সংগ্রহ করবে, ঘটনা সত্যি কি না। যদি কেউ অপরাধ করে থাকে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু কেউ অপরাধ না করলে তাহলেও ব্যবস্থা নিতে হবে। সুতরাং সঠিক তথ্য জানার জন্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাস না হওয়া পর্যন্ত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
আজ রোববার দুপুরে বুয়েটে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করেছে। এ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, পরীক্ষা চলমান (ওপেন) আছে। পরীক্ষা শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী চলবে। যদি কেউ পরীক্ষা না দেয়, তাহলে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা চাইব, তারা (আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী) পরীক্ষা অব্যাহত রাখুক, যাতে ক্যারিয়ার নষ্ট না হয়।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা যদি পরীক্ষা দিতে আসে, তখন বিবেচনা করা হবে। আজকের পরীক্ষায় দুজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল বলে জানান উপাচার্য।
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর বিষয়ে ছাত্রসংগঠনের দাবির প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে উপাচার্য বলেন, তখন (২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ হত্যা) যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, সেই পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত (ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা) নেওয়া হয়েছিল। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেটা যদি পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে তাঁদের আবার উদ্যোগী হতে হবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। এরপরও গত বুধবার মধ্যরাতের পর ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন, রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গত শুক্রবার বেলা আড়াইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন। গতকাল তাঁরা পরীক্ষা বর্জন করে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন।