২৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আসামি ঢাকা ওয়াসার তিনজন

ঢাকা ওয়াসা
ফাইল ছবি

ঢাকা ওয়াসার সাবেক ও বর্তমান তিন কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওয়াসার বিল আদায়ে দায়িত্ব পাওয়া প্রোগ্রাম ফর পারফরম্যান্স ইমপ্রুভমেন্ট (পিপিআই) প্রকল্পের ২৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

দুদক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। দুদকের ঢাকার সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান আজ বুধবার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদক বলছে, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষে পিপিআই পরিচালনা কমিটির নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাব থেকে আসামিরা অবৈধভাবে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।

মামলায় ওয়াসার সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান (৬২), মো. হাবিব উল্লাহ ভূইয়া (৫৯) ও কম্পিউটার অপারেটর (আউটসোর্সিং) মো. নাঈমুল হাসানকে (৫১) আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসা পিপিআই প্রকল্পের বিল বাবদ ৩৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা জনতা ব্যাংকের কারওয়ান বাজার করপোরেট শাখার চলতি হিসাব থেকে সমিতিকে দিয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ব্যাংক হিসাব বিবরণী, নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও সমিতির কেনা অন্যান্য সম্পদ রেজিস্ট্রার, পিপিআই প্রকল্পে কর্মরত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বিভিন্ন ব্যয়ের তথ্য পর্যালোচনা করে ৯৫ কোটি ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭১৫ টাকা ব্যয়ের রেকর্ড পাওয়া যায়। এ ছাড়া উল্লিখিত সময়ে ব্যাংক হিসাবটিতে স্থিতি ছিল ১০ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮১৪ টাকা। দুদকের অনুসন্ধানকালে ২৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার কোনো হিসাব দেখাতে পারেননি কর্মকর্তারা।

ঢাকা ওয়াসার কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত বছর সংস্থাটির কর্মচারী সমিতির ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় ওই সমিতির শীর্ষ পদে ছিলেন। সমবায় অধিদপ্তরের এক বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির ওপর এ নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করে ২০২১ সালের জুন মাসে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সমবায় অধিদপ্তর ও ঢাকা ওয়াসাকে দেওয়া হয়। এতে আর্থিক অনিয়ম নিয়ে অধিকতর তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। যদিও ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

সমবায় অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তারা নিরীক্ষা করেছে শুধু ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের। নথিপত্র ও হিসাব না দেওয়ায় বাকি সময়ের নিরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ফলে সমিতিতে আরও আর্থিক অনিয়ম হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।