আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ট্রেনের বগি। আজ ভোরে তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন লাগানো হয়। ১৯ ডিসেম্বর, ঢাকা
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ট্রেনের বগি। আজ ভোরে তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন লাগানো হয়। ১৯ ডিসেম্বর, ঢাকা

তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে আগুন, মা–শিশুসহ নিহত চার

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একটি বগি থেকে মা, শিশুসন্তানসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার পর এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।  

তেজগাঁও স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছেন বকুল আক্তার। তিনি মোহনগঞ্জ থেকে ট্রেনটিতে আসছিলেন। ছেলে খোকন মিয়াকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন—নাদিরা আক্তার পপি (৩২) ও তাঁর ৩ বছরের ছেলে ইয়াছিন। বাকি দুজন পুরুষ। তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানান, ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় আসছিল। বিমানবন্দর স্টেশন পার হয়ে ট্রেনটি খিলক্ষেতে এলে যাত্রীরা বগিগুলোয় আগুন দেখতে পান। তাঁরা চিৎকার করতে শুরু করেন। এরপর চালক ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে থামান।

ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনটি উদ্ধার করে কমলাপুর স্টেশনে নেওয়া হয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর, ঢাকা

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার জানান, সকাল পৌনে সাতটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে।

পুলিশ বলেছে, আগুন নেভানো ও মরদেহগুলো উদ্ধারের পর ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শোকাহত মিজানুর রহমান। তাঁর স্ত্রী নাদিরা আক্তার ও তিন বছরের ছেলে ইয়াছিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ট্রেনের একটি বগি থেকে।

সকাল আটটার দিকে তেজগাঁও স্টেশনে বকুল আক্তার নামে এক নারীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি মোহনগঞ্জ থেকে ট্রেনটিতে আসছিলেন। ছেলে খোকন মিয়াকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানান তিনি। বলেন, পুলিশ তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে মরদেহ শনাক্তের জন্য নিয়ে যাবে।

স্কুলব্যাগটি কার তা জানা যায়নি। হয়তো পছন্দের স্কুলব্যাগটি নিয়ে ট্রেনে চড়েছিল কোনো শিশু।