কামরাঙ্গীরচরে পাঁচ তারকা হোটেল বানাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি

কামরাঙ্গীরচরে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল সরণির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস
ছবি: সংগৃহীত

তুলনামূলক পিছিয়ে পড়া এলাকা রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পাঁচ তারকা হোটেল বানানোর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, ওই এলাকায় পরিকল্পিত আবাসন, কনভেনশন হল, ৫০ তলাবিশিষ্ট নান্দনিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। বুড়িগঙ্গা নদীর তীর হয়ে চার সারির সড়ক নির্মাণ করা হবে। এভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক নগরীতে পরিণত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে কামরাঙ্গীরচরের লোহার ব্রিজ থেকে নিজামবাগ বেড়িবাঁধ পর্যন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল সরণির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মেয়র। এরপর তিনি গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।

কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, কামরাঙ্গীরচরে অপরিকল্পিত নগরায়ণ হয়েছে। উন্নত দেশে একটি সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট বা ফিন্যান্সিয়াল হাব থাকে। সেভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন করা হচ্ছে। এর পাশ দিয়েই নান্দনিক পরিবেশ তৈরি করা হবে। এই লোহারপুল সেতুর জায়গায় ছয় সারিবিশিষ্ট একটি আধুনিক সেতু হবে। এর উত্তর দিকের এলাকায় আধুনিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল, কনভেনশন হল, ৫০ তলাবিশিষ্ট নান্দনিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। আর দক্ষিণ দিকে সুন্দরভাবে আবাসন গড়ে তোলা হবে। এ ছাড়াও বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দিয়ে নিজামবাগ থেকে ঝাউচর পর্যন্ত আরও চার সারির সড়ক নির্মাণ করা হবে। এভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক নগরীতে পরিণত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

কামরাঙ্গীরচরের লোহার ব্রিজ থেকে নিজামবাগ বেড়িবাঁধ পর্যন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল সরণির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস

এ সময় কামরাঙ্গীরচর-কেন্দ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন করা হবে জানিয়ে মেয়র শেখ তাপস বলেন, এখানকার সব সরকারি জমি অবশ্যই দখলমুক্ত করা হবে। আর ব্যক্তিমালিকানাধীন যেসব জমির প্রয়োজন হবে, সেসব জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

আগামী দু–তিন বছরের মধ্যে কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়ন কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, ৩ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।