ট্রেন
ট্রেন

যান্ত্রিক ত্রুটি, বিমানবন্দর স্টেশনে ৩ ঘণ্টা দুর্ভোগ সোনার বাংলার যাত্রীদের

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ইঞ্জিন ত্রুটির কারণে অন্তত তিন ঘণ্টা দেরি করেছে। আজ রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এতে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।

ট্রেনের যাত্রীরা জানান, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন থেকে আজ সকাল সাতটায় ছাড়ে। সাড়ে সাতটায় বিমানবন্দর স্টেশনে আসার পর ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর ট্রেনটি ওই স্টেশনে থেমে থাকে। দীর্ঘ সময় থেমে থাকায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।

যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেন দেরির কারণ কিংবা কখন ছাড়তে পারে, এসবের কিছুই রেলওয়ের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। ট্রেন দেরি হওয়ায় অনেক যাত্রী পেশাগত কাজেও বিপাকে পড়েন। অনেকের জরুরি কাজ ব্যাহত হয়।

সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে থাকা যাত্রী আবদুল্লাহ আল মামুন নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, আজ দুপুরে পারিবারিক কাজ ছিল। ওই সময় বিবেচনায় রেখে বাসের টিকিট না কেটে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন, যাতে চট্টগ্রামে যেতে দেরি না হয়। কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেন বিমানবন্দরে স্টেশনে এলে যাত্রী ওঠানোর জন্য যাত্রা বিরতি দেয়। স্বাভাবিক সময়ে তা পাঁচ মিনিটের মধ্যে হয়ে যায়। কিন্তু অনেকক্ষণ থেমে থাকার পর যাত্রীরা জানতে পারেন, ট্রেনে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

ওই যাত্রী বলেন, কিন্তু কী সমস্যা হয়েছে, তা স্পষ্ট করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে জেনেছেন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেন ছাড়তে দেরি হবে। যখন ট্রেন বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়, ততক্ষণে অন্তত তিন ঘণ্টা সময় পেরিয়ে গেছে। ফলে দুপুরে আর পারিবারিক কাজটি করা হয়ে ওঠেনি।

ট্রেনের আরেক যাত্রী আজহার মাহমুদ বেলা একটায় বলেন, ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় গিয়েছিলেন। আজ যাতে দুপুরের মধ্যে অফিস করতে পারেন, সে জন্য ট্রেন বেছে নিয়েছিলেন। দুপুর পার হলেও তিনি তখনো ট্রেনে। দেরি করার কারণে আজ আর অফিস করা হবে না।

রেলের সময়সূচি অনুযায়ী, আন্তনগর বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে সময় নেয় ৪ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট। সকাল ৭টায় ছেড়ে চট্টগ্রামে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে পৌঁছে। এর মধ্যে যাত্রী উঠাতে কেবল বিমানবন্দর স্টেশনে ৫ মিনিটের জন্য থামে।

রেলওয়ের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওপিএস) মো. শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে দেরি করেছে। নতুন ইঞ্জিন এনে ট্রেন চালাতে হয়েছে। এ জন্য তিন ঘণ্টা নয়, আড়াই ঘণ্টা দেরি হয়েছে।