মেট্রোরেলের ভাড়া নিয়ে যদি মানুষের বেশি কষ্ট হয়, তাহলে সেটি পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সরকারের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাজধানীতে মেট্রোরেল চালুর মধ্য দিয়ে গণপরিবহন-ব্যবস্থায় নতুন যুগের সূচনা হলো। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে চড়েন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর যাত্রাসঙ্গী অন্য যাত্রীদের নিয়ে মেট্রোরেল দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও স্টেশনে আসে। মেট্রোরেলের প্রথম এ যাত্রার যাত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য ও নির্ধারিত কিছুসংখ্যক আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকও ছিলেন।
মেট্রোরেলে ভ্রমণের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। প্রথম পর্যায়ে এখন মেট্রোরেল যে অংশে চলাচল শুরু করবে, সেই উত্তরা নর্থ স্টেশন (দিয়াবাড়ি) থেকে আগারগাঁও স্টেশনের ভাড়া হবে ৬০ টাকা। আর যখন মতিঝিল পর্যন্ত তা চালু হবে, তখন উত্তরা থেকে মতিঝিল স্টেশন পর্যন্ত ভ্রমণে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের।
মেট্রোরেল চালুর মধ্য দিয়ে গণপরিবহন-ব্যবস্থায় নতুন যুগের সূচনার পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় একজন সাংবাদিক কৃষিমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন—অনেকে বলছেন ভাড়া একটু বেশি হয়েছে, সেটি পুনর্বিবেচনার কোনো সুযোগ আছে কি না? জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি শুরু হলো, দেখা যাক। এটি তো জনগণের সরকার। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে আমরা প্রতিধ্বনিত করি, বাস্তবায়ন করি। যদি মানুষের বেশি কষ্ট হয়, তাহলে নিশ্চয়ই পর্যালোচনা করব এবং এটিই চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। অবশ্যই চিন্তা করা যাবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল মাত্র শুরু হলো। সারা জাতিকে আশান্বিত করল। ভবিষ্যতে এ রকম মেট্রোরেল সারা ঢাকা শহর ছড়িয়ে যাবে এবং পরিবহনের যে সমস্যা, তা অনেক কমে আসবে। আবার ঢাকা হবে গর্বের ও অহংকারের একটি শহর। পদ্মা সেতুর পর মেট্রোরেলকে আরেক মাইলফলক হিসেবে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।