পাঁচটি বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করার পর আজ শনিবার বেলা দুইটায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেষ সমাবেশ করবে বিএনপির তিন যুব-ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। আওয়ামী লীগ গত ডিসেম্বর থেকে বিএনপির কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি পালন করছে। আজকে ঢাকায় আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচি রাখা হয়নি।
তবে যুবলীগ বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে। আর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সেখানকার জেলা স্কুলমাঠে ‘উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ’ করবে আজ।
বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশ সফল করতে সব জেলা, মহানগর এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা অংশ নেবেন। ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বাইরে অন্যান্য অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেবেন।
সমাবেশ চাকরিবঞ্চিত, ‘গুমের শিকার’ ও ‘নিখোঁজ’ নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্য, ভোটার হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ভোট দিতে না পারা তরুণ এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত কয়েকজন বক্তব্য দিতে পারেন।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার এই সমাবেশে মূলত আন্দোলনের মাঠ না ছাড়ারই ঘোষণা দেবে বিএনপি। একই সঙ্গে বর্তমান ‘অরাজক’ পরিস্থিতির পরিবর্তনে তরুণদের এগিয়ে আসার ডাক দেওয়া হবে। তারুণ্যের সমাবেশের পর এক দফায় সর্বশক্তি দিয়ে এগোবে বিএনপি।
‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’ স্লোগানে তারুণ্যের সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির তিন সংগঠন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কার্যত বড় আন্দোলনে তরুণ-যুবকদের কতটা কাছে পাবে, সেটি পরখ করতেই সারা দেশে ছয়টি তারুণ্যের সমাবেশ করার উদ্যোগ নেয় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এরই মধ্যে পাঁচটি বড় শহরে সমাবেশ হয়েছে। গত জুন মাসে চট্টগ্রামে প্রথম তারুণ্যের সমাবেশ হয়। এরপর বগুড়া, বরিশাল, সিলেট, খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ হয়।
বিএনপির এর আগের কর্মসূচিগুলোর ধারাবাহিকতায় ঢাকায় আজ পাল্টা কর্মসূচি দেয়নি আওয়ামী লীগ। যুবলীগ বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে। আর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সেখানকার জেলা স্কুলমাঠে ‘উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ’ করবে আজ।এতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা থাকবেন। আগামীকাল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ একই কর্মসূচি পালন করবে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, নোয়াখালীর কর্মসূচি আগেই ঠিক করা ছিল। সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এতে অংশ নেবেন বলে ঢাকায় কর্মসূচি রাখা হয়নি।
গতকাল সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় আগস্টে শোকের মাসব্যাপী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উপস্থিত সূত্র জানায়, এবারের শোকের কর্মসূচিগুলো সমাবেশ আকারে করা হবে। যত বেশি সম্ভব মানুষের জমায়েত নিশ্চিত করতে হবে।
বৈঠকে ওবায়দুল কাদের জানান, ৩০ জুলাই তৃণমূলের নেতাদের নিয়ে গণভবনে বৈঠক হবে। আর রংপুরে ২ আগস্ট সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেবেন।