রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বেপরোয়া গতির বাসের চাপায় সিভিল এভিয়েশনের প্রকৌশলী মুইদুল ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বাসচালক হাসান মাহমুদের ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স ছিল না। বাসটির ফিটনেস সনদও দেখাতে পারেননি চালক।
আজ শনিবার সকালে বরিশালের হিজলা থেকে হাসানকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে বলে র্যাব–১ একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়।
র্যাব জানিয়েছে, প্রকৌশলী মুইদুলকে গাড়িচাপা দেওয়ার পর মুইদুল পালিয়ে ঢাকা থেকে বরিশালে যান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব–১ ও ৮ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, এ ধরনের বাস চালানোর জন্য চালকের যথাযথ লাইসেন্স ছিল না। এ ছাড়া গাড়ির ফিটনেস–সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল না।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মুইদুল ইসলামের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয় বেপরোয়া গতির যাত্রীবাহী বাস রাইদা পরিবহন। পরে বাসটি বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের টিনের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় মুইদুল ইসলামকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মুইদুল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিভিল এভিয়েশন) জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী ছিলেন।