ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরত সবাই মিলে টিম হিসেবে কাজ করে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেছেন, তিনি নিজে পরিচ্ছন্নভাবে কাজ করবেন। মন্ত্রণালয়ের বা বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারাও তাই করবেন।
আজ রোববার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী। তিনি এর আগে সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে পরিচিতি ও মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিষয়ে অবহিতকরণ সভায় অংশ নেন। এ সময় ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্মার্ট ভূমিসেবা বাস্তবায়নে আমরা সবাই অংশীজনের সহায়তা চাই। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমির সঙ্গে জড়িত, এ জন্য টেকসই ও স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে নাগরিক অংশগ্রহণের বিকল্প নেই।’
ভূমি অফিসে হয়রানি প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো ধরনের নাগরিক হয়রানির বিরুদ্ধে আমরা শক্ত অবস্থানে থাকব। এ ছাড়া আমরা ডিজিটাইজেশন পরিকল্পনা এমনভাবে করছি, যেখানে সিস্টেমই হয়রানির সুযোগ যেন না দেয়।’
দুর্নীতি–সংশ্লিষ্ট আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি পরিচ্ছন্নভাবে কাজ করব। আশা করি, ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত সব দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরত আমার সহকর্মী সবাই পরিচ্ছন্নভাবে কাজ করবেন। এর ব্যত্যয় হলে প্রচলিত আইনে বিচারের আওতায় আসতে হবে।’
ভূমি মন্ত্রণালয়কে একটি ‘চ্যালেঞ্জিং’ মন্ত্রণালয় হিসেবে বর্ণনা করে নতুন ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনাগুলো পর্যালোচনা করব এবং কীভাবে এগিয়ে গেলে ভূমি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনাগুলো দ্রুত টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে, তা পরীক্ষা করে সেভাবেই কাজ করব।’
ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন বাস্তবায়ন ও ভূমি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নতুন আইন প্রণয়নে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বের সাধুবাদ জানান নতুন ভূমিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তিনি অনেক উদ্যোগী ছিলেন এবং অনেকটা “রিলিজিয়াসলি” (ধারাবাহিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে) ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশনের কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি যে পর্যন্ত অগ্রগতি রেখে গিয়েছেন, আমরা তা আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুস সবুর মন্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সব অতিরিক্ত সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।