রাজধানীর গুলিস্তানের পাশে সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জাহান সরদার (২০) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৫ জনের মৃত্যু হলো।
জাহান সরদার চিকিৎসাধীন ছিলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। এই ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, জাহান সরদারের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আজ বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণে আহত ১২ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে চারজন মারা গেলেন।
বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, জাহান সরদারের আগে গত শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আজম মৃধা নামের এক ব্যক্তি। এর আগে বুধবার রাতে মো. মুসা নামের একজন মারা যান। লাইফ সাপোর্টে থাকা ইয়াসিন আলী (২৬) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয় বৃহস্পতিবার।
সর্বশেষ মারা যাওয়া জাহান সরদার নবাবগঞ্জ সরকারি ডিএন কলেজের বিএ অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, নবাবগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও থাকতেন যাত্রাবাড়ীতে। জাহান সরদার লেখাপড়ার পাশাপাশি যাত্রাবাড়ীতে একটি মুঠোফোন মেরামত দোকানে খণ্ডকালীন কাজ করতেন। ঘটনার দিন তিনি নবাবগঞ্জ থেকে যাত্রাবাড়ীর বাসায় ফিরছিলেন।
৭ মার্চ বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানের বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে কুইন স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত সাততলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনটির বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা অনেকটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। দুই পাশে লাগোয়া দুটি ভবনের কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পরিত্যক্ত লাইনের ছিদ্র থেকে বের হওয়া গ্যাস জমে ভবনের বেজমেন্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।