বিকেলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পার্শ্ববর্তী সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে কলেজটির শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। রোববার সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে
বিকেলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পার্শ্ববর্তী সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে কলেজটির শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। রোববার সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে

সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে ভাঙচুর

শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পার্শ্ববর্তী সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে কলেজটির শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। রোববার সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভাঙচুর করা হয়েছে। দ্বিতীয় তলার শিক্ষকদের একটি কক্ষে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

কলেজের ফাদার ব্রাদার প্লাসিড পিটার রিবেরু সিএসসি বলেন, ‘দুপুরে ছুটি হয়ে গেলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সবাই বাড়ি চলে যান। পরে সন্ধ্যায় সংবাদ শুনে ক্যাম্পাসে এসে ভাঙচুরের দৃশ্য দেখেছি। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

সম্প্রতি (গত বুধবার) ভুল চিকিৎসায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনার বিচার চেয়ে পুরান ঢাকার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, বিচার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গত বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এর প্রতিবাদে রোববার তারা ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় আবার পুরান ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ আশপাশের কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

পরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বেলা দুইটার পর এ কলেজের ভেতরে ঢুকে শ্রেণিকক্ষসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালানো হয়।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, আকস্মিক কয়েক শ শিক্ষার্থী এসে কলেজের ১৭টি বিভাগে হামলা চালিয়েছে। তারা বিভাগগুলোর অফিসকক্ষ থেকে কম্পিউটার লুটপাট ও ভাঙচুর করেছে। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছিল। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা ওই সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে।

এ কলেজে একটি মাইক্রোবাস, একটি প্রাইভেট কার ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায়।

ঘটনার বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম রাতে প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরে সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলায় সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীরাও ছিল। এর জেরে সেন্ট গ্রেগরিতে হামলা হয়ে থাকতে পারে। যে যেই অপরাধ করেছে, আইন অনুযায়ী তার শাস্তি পেতে হবে। অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।