ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে নতুন রোগী
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে নতুন রোগী

ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়াল

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে এখন পর্যন্ত এডিস মশাবাহিত রোগটিতে ১৬৭ জনের মৃত্যু হলো। চলতি বছর এখন পর্যন্ত এক মাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু এটি।

আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আজ সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে দুজন, ঢাকা বিভাগে দুজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে একজন করে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের (ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বাদে) বিভিন্ন হাসপাতালে সর্বোচ্চ ২২১ জন ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৭১, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১১৫, খুলনা বিভাগে ১০৯, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৫, বরিশাল বিভাগে ৭২, রাজশাহী বিভাগে ৩২, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮, রংপুর বিভাগে ১০ ও সিলেট বিভাগের হাসপাতালে ৪ জন ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯০ হাজার ৪৪০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত মাসে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন। চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮ হাজার ৬২৩ জন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয় গত বছর। তখন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আর মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৪৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২৪৮ জন নারী ও ২৩৪ জন পুরুষ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ১৭১ রোগী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপর ঢাকা বিভাগের (ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বাদে) বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ১৬ হাজার ৫২৮ জন ভর্তি হয়েছেন। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৯০৩ জন ডেঙ্গু রোগী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

অপর দিকে এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ২০২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে। এরপর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের।