বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতা

আন্দোলনের সময় ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় বিএনপি নেতা–কর্মীদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা–পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁর গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ভোলার শশীভূষণ থানার সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব আলম, চরফ্যাশন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. জাহিদ হাসান ও শশীভূষণ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি বলেন, বিএনপি নেতা মো. মনির হোসেনের করা মামলায় ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিএমপি সূত্র জানায়, গত ৪ আগস্ট পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিএনপির ৩০–৩৫ জন নেতা–কর্মী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা করে গুরুতর জখম করেন। এরপর বিএনপির নেতা–কর্মীদের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নিয়ে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি, চরথাপ্পড় দেওয়া হয়। একপর্যায়ে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সহযোগী মো. জাবেল হোসেন মামলার বাদী মনির হোসেনকে পিস্তল ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা চান। প্রাণ বাঁচাতে আসামিদের নগদ ১০ লাখ টাকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। ওই ঘটনায় মনির হোসেন কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে ওই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।