করোনাভাইরাসের কারণে আকাশপথে যাত্রীবাহী ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। তবে মধ্য এপ্রিল থেকে প্রতিদিনই বিশেষ ফ্লাইট আসছে বাংলাদেশে। আজ রোববার ভারত ও বাহরাইন থেকে তিনটি বিশেষ দেশে এসেছেন ৩৯২ জন। এ নিয়ে গত ২০ দিনে ৩১টি বিশেষ ফ্লাইটে চার হাজারের বেশি বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
আজ বিকেল চারটায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কলকাতা ফ্লাইটে করে ফিরেছেন ৬১ জন যাত্রী। এদের মধ্যে তিনজনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহারিয়ার সাজ্জাদ। বাকিরা থাকবেন হোম কোয়ারেন্টিনে। সন্ধ্যা ৭টায় বিমানের মুম্বাই থেকে আরেকটি বিশেষ ফ্লাইটে করে এসেছে ১৬২ জন। রাত আটটায় বাহরাইন থেকে ফিরেছেন ১৮০ জন। স্বাস্থ্য সনদ যদি থাকে তাহলে এই দুই ফ্লাইটের যাত্রীদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য সনদ না থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত ৩১টি বিশেষ ফ্লাইটে ৪০৩৪ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ভারতে চিকিৎসা, ব্যবসার কাজে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন। ফিরে আসা বাকি অর্ধেক হলেন মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের শ্রমিক। তবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে যাঁরা ফিরেছেন, তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন অপরাধে কারাবন্দী ছিলেন। অবশ্য প্রথম দিকে প্রবাসী শ্রমিকেরা ফিরলেও বেসামরিক বিমান চালাচল কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ির কারণে এখন সেটি কিছুটা কমে গেছে।
এদিকে দেশে ফেরত ৪হাজার বাংলাদেশির মধ্যে প্রায় আটশ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এরা সবাইকে আশকোনা হজ ক্যাম্প ও পাশে ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে রাখা হয়। এদের কারও মধ্যে গতকাল করোনাভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে প্রায় পৌনে চারশ জন ১৪দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে স্বাস্থ্য সনদ নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকিদেরও কোয়ারেন্টিনের সময় প্রায় শেষের পথে।