বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ‘১০০ শব্দের গল্প’ বিষয়টি নিঃসন্দেহে একটি ব্যতিক্রম উদ্যোগ। একসময় লেখক বনফুল দুই লাইনের গল্প লিখেছেন। এমন একদিন আসবে, মানুষ দুই লাইনের গল্পের চর্চা করবে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংগঠন মুক্ত আসরের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত ‘শত কথার শত গল্প: লেখক আড্ডা ও সেরা লেখক পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে এমন কথা বলেন কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস।
গতকাল শনিবার পরীবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে লেখকদের পুরস্কার তুলে দেন কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস, মোহিত কামাল, ইতিহাসবিদ এ কে এম শাহনাওয়াজ, মুক্ত আসরের উপদেষ্টা রাশেদা নাসরীন, বন্ধুসভার জাতীয় কমিটির সভাপতি সাইদুজ্জামান রওশন, উপসচিব নুরুন আখতার, সমাজসেবী ফারাহ দিবা আহমেদ।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর লেখকদের পরিচিতি, তাঁদের প্রকাশিত লেখা পাঠ। এরপরই সেরা লেখক পুরস্কার ২০১৯ দেওয়া হয়। আরেফিন রেজোয়ান, আশান উজ জামান ও অনিন্দিতা চৌধুরীকে সেরা লেখক এবং সঞ্জিত দত্ত, প্রিয়তোষ মিশ্র সজীব, সাদিয়া জাফরিন ও কামরুল হাসানকে বিশেষ পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ক্রেস্ট, বই, সনদ ও উত্তরীয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন লেখক ম্যারিনা নাসরীন, মুক্ত আসরের পরামর্শক ওমর ফারুক, মুক্ত আসরে সহসভাপতি সাহাদাত পারভেজ, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সংগীতা আচার্য্য ও শত কথার শত গল্পের লেখকবৃন্দ। কবিতা আবৃত্তি করেন ফরিদা ইয়াসমিন সুমি, তাহমিনা তম, সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট নজরুল সংগীতশিল্পী শাহীনা আক্তার পাপিয়া। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আয়শা জাহান নূপুর।
অনুষ্ঠানে মুক্ত আসরের ২ বছরের জন্য ৬০ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন এ কে এম শাহনাওয়াজ। কমিটির সভাপতি হয়েছেন আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক আশফাকুজ্জামান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাকদুসউজ্জমান।