হাটের চিত্র দেখে মেয়রের ক্ষোভ, জরিমানা ১০ লাখ টাকা

গাবতলী পশুর হাট। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই।
ছবি: সাজিদ হোসেন

গাবতলী পশুর হাটে সার্বিক পরিস্থিতি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। আজ সোমবার দুপুরে হাট পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, হাটের সার্বিক চিত্র তাঁর কাছে মোটেও ভালো লাগেনি। হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।

মেয়রের এমন আক্ষেপের পরই স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনসহ ইজারার শর্ত ভঙ্গের অপরাধে ইজারাদারকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

হাট পরিদর্শন শেষে মেয়র আতিকুল সাংবাদিকদের বলেন, এ বছরই প্রথম উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯টি হাটে ৯টি অ্যান্টিজেন টেস্ট বুথ বসানো হয়েছে। তাতে তিনজন ধরা পড়েছেন। এরপরও তাঁরা উদাসীন। এটা সিটি করপোরেশনের হাটে হতে পারে না।
উত্তর সিটির মেয়র বলেন, ‘আমরা অব্যবস্থাপনার বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আরও কঠোর ব্যবস্থা নেব। রোজার ঈদের আগে আমরা স্বাস্থ্যবিধি না মানায় উত্তরার একটি শপিং মল বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এখনো সেই ব্যবস্থা নিতে পারি।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে যে চুক্তি ও শর্ত অনুযায়ী হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে, সেই শর্তগুলো যথাযথ পরিপালন হচ্ছে কি না, সেটি পরিদর্শন করেন মেয়র। এ সময় যাঁরা মাস্ক ছাড়া হাটে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন। মাস্কবিহীন অনেক ব্যবসায়ীকে তিনি মাস্ক পরিয়ে দেন।

যাঁরা মাস্ক ছাড়া হাটে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন মেয়র আতিকুল

মেয়র বলেন, ‘আমরা হাটের বাইরের যেসব জায়গার বাঁশ ভেঙে দিয়েছি, সেখানেও গরু বাঁধা হয়েছে। তাতেও সমস্যা মনে করি না। সমস্যা হচ্ছে কেন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।’ তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনা করার নির্দেশ দেন।

হাটের এই অব্যবস্থাপনার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটরা রয়েছেন, তাঁরাই বলতে পারবেন তাঁরা কী ব্যবস্থা নেবেন। আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার, তাঁরা তা–ই নেবেন। এ সময় তিনি একটি হাসিল আদায়ের বুথের চিত্র খারাপ দেখে জরিমানা করার নির্দেশ দেন।

এ সময় আতিকুল ইসলাম জানান, ‘এ বছর কোরবানি–পরবর্তী শহর পরিষ্কার করার জন্য আমাদের ১১ হাজার কর্মী কাজ করবেন। আমিও কিন্তু মাঠে থাকব। আমাদের কাউন্সিলররা মাঠে থাকবেন। সব কর্মকর্তা–কার্মচারী মাঠে থাকবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা শহর পরিষ্কার করব।’

যে চুক্তি ও শর্ত অনুযায়ী হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে, সেই শর্তগুলো যথাযথ পরিপালন হচ্ছে কি না, সেটি পরিদর্শন করেন মেয়র

জরিমানার বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর সিটির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহা বিনতে সিরাজ প্রথম আলোকে বলেন, হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছিল না। এ ছাড়া করোনাকালে হাট ব্যবস্থানায় যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তা–ও ভঙ্গ করা হয়েছে। এই অপরাধে ইজারাদারকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।