হল বন্ধের ঘোষণা দিয়ে অবরুদ্ধ ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

ঢাকা কলেজ
ছবি: সংগৃহীত

নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আবাসিক হল বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ায় ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ টি এম মইনুল হোসেনকে বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন ক্ষুব্ধ ছাত্ররা। অধ্যক্ষকে তাঁর কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ চলার সময়ও কলেজের সামনের রাস্তায় ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলছিল।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ টি এম মইনুল হোসেন এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৫ মে পর্যন্ত কলেজের আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করেন এবং বিকেলের মধ্যেই হল খালি করার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ছাত্ররা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভে ছাত্ররা ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

পরে বিকেল সোয়া চারটার দিকে কলেজের শহীদ আ ন ম নজিব উদ্দিন খান খুররম মিলনায়তনে ছাত্রলীগের নেতারা সম্মিলিতভাবে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাঁরা হল ও ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছেন। যেকোনো মূল্যে তাঁরা আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।

সেখানে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা ফুয়াদ হাসান বলেন, ‘প্রয়োজনে আমরা লাশ হয়ে বের হব। তবু হল-ক্যাম্পাস ছাড়ব না। সাধারণ ছাত্রদের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে, এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষকে আমরা সুন্দর সমাধান করতে বলেছি। সেটি না হলে আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’

এর আগে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের শান্ত করতে দুপুরে ক্যাম্পাসে যান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সেখানে তাঁরা ছাত্রলীগের কলেজ শাখার নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন। দীর্ঘদিন ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তাঁরা বলেন, কমিটি থাকলে ব্যবসায়ীরা এত সাহস পেতেন না।

হল বন্ধের ঘোষণার পর আল নাহিয়ান ও লেখক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কার্যালয়ে যান। লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘হল বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান নয়। প্রয়োজনে মার্কেট বন্ধ হবে, হল নয়।’