করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আজ বুধবার সকালে ঢাকায় ভিন্ন পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। ভোর থেকে সাভার, ধামরাই থেকে যাত্রী নিয়ে বাস ঢাকায় ঢোকে এবং গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে এসব এলাকার উদ্দেশে বাস ছেড়ে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যাত্রী নিয়ে সাভার ও ধামরাইগামী বাসগুলো গাবতলী বাস টার্মিনাল ছেড়ে যাচ্ছিল। সে সময় সাংবাদিকের দেখে দায়িত্বরত পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে এবং বাসগুলোকে আটকে দেয়।
গাবতলী গরুর হাট মোড়ে বাসগুলোকে পুলিশ বাধা দেয়। বিকল্প পথে গাবতলী ব্রিজের নিচে ইউটার্ন নিয়ে ব্রিজ পার হয়ে যেতে দেখা যায় কিছু গাড়িকে। আমিনবাজারের পাশ থেকে যাত্রী নিয়ে সাভারের দিকে চলে যায় বাসগুলো।
সাভার থেকে এসব বাস যাত্রী নিয়ে ভোরে ঢাকায় প্রবেশ করে। অসুস্থ গৃহবধূ সালেহা বেগম সকাল সাতটায় সাভার পরিবহনের বাসে চিকিৎসক দেখাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। ফেরার পথে তাঁকে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। বাস আটকে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্দেশনা ছিল সিটির বাইরে থেকে বাস ভেতরে ঢুকতে না দেওয়ার, কিন্তু মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা কিছুটা শিথিল অবস্থান নিই। এর সুযোগ নিয়ে বেশি বাস রাস্তায় নামলে আমরা কঠোর হই এবং আইন না মানায় নিয়মিত মামলা ও জরিমানা করি।’
সাভার পরিবহনের চালকের সহকারী জহির হোসেন বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর বাস আটকে দেওয়া হয়। সকাল আটটার দিকে সাভার থেকে তিনি সদরঘাটে আসেন। কিন্ত ফিরে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়। গাড়ির কাগজপত্র রেখে দেয়।
এদিকে সাভার থেকে আসা যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েন। রিকশা, প্রাইভেট কার, লেগুনা, খোলা পিকআপে করে যেভাবে পারছে অতিরিক্ত ভাড়ায় সাভারের দিকে রওনা দিচ্ছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুসারে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় আজ সকাল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল যথারীতি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।