স্ত্রীসহ গোল্ডেন মনিরের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনির’
ফাইল ছবি

অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও বিদেশি মুদ্রা রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির ও তাঁর স্ত্রী রওশন আক্তারের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, দুদক পরিচালক আকতার হোসেন গতকাল বুধবার মনির দম্পতির সম্পদের তথ্য চেয়ে নোটিশ পাঠান।

পৃথক নোটিশে তাঁদের নিজের এবং তাঁদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নিজ নামে বা বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, দায়দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। মনিরকে ২০০৯ সালের ১৮ জুন তারিখের পর থেকে, আর স্ত্রী রওশনকে ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবরের পর থেকে অর্জিত সম্পদের বিবরণী দিতে হবে।

জানা গেছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে মনির হোসেনের নামে ৬১০ কোটি টাকা এবং স্ত্রী রওশন আক্তারের নামে সাড়ে ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের হদিস পেয়েছে দুদক।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুজনের সম্পদের তথ্য চেয়ে নোটিশ জারির সুপারিশ জানিয়ে দুদকে একটি প্রতিবেদন জমা দেন উপপরিচালক মো. সামছুল আলম।

গত ২১ নভেম্বর র‍্যাব অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও বিদেশি মুদ্রা রাখার অভিযোগে মনির হোসেনকে তাঁর মেরুল বাড্ডার ১৩ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, নব্বইয়ের দশকে গাউছিয়া মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানের সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন মনির। সময়ের ব্যবধানে মনির বড় ধরনের সোনা চোরাচালানকারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর নাম হয়ে যায় গোল্ডেন মনির। ভূমিদস্যুতার মাধ্যমে মনির অসংখ্য প্লটের মালিকও হয়েছেন।

অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও বিদেশি মুদ্রা রাখার অভিযোগে পৃথক তিন মামলায় মনির বর্তমানে ১৮ দিনের রিমান্ডে আছেন।

রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় ডিআইটি প্রজেক্টের ১১ নম্বর সড়কে মনিরের ছয়তলা বাড়ি।

সেখানে গত শুক্রবার রাত ১১টায় অভিযান শুরু করে র‍্যাব। সাড়ে ১২ ঘণ্টার অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলন করে মনিরকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় র‍্যাব। সেই বাসা থেকে গুলিসহ ১টি বিদেশি পিস্তল, ৪ লিটার বিদেশি মদ, ৩২টি নকল সিল, ৮ লাখ টাকার বেশি মূল্যমানের বিদেশি মুদ্রা, ৬০০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।