পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ সময় তিনি বলেন, প্রয়োজনে বিক্রির পরিধি আরও বাড়ানো হবে।
রাজধানীর ১০টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে এসব পণ্য বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু একটি গাড়ি নষ্ট হওয়ায় আজ নয়টি স্থানে পণ্য বিক্রি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
১০টি স্থান হলো সচিবালয়সংলগ্ন আবদুল গণি রোড, খামারবাড়ি গোল চত্বর, মিরপুর ৬০ ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, পুরান ঢাকার নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার, মিরপুরের কালশী, যাত্রাবাড়ী ও জাপান গার্ডেন সিটি। গাড়ি নষ্ট হওয়ায় আজ জাপান গার্ডেন সিটিতে এসব পণ্য বিক্রি হবে না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখা আমাদের লক্ষ্য। এ জন্য ১ থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত রাজধানীর ১০টি স্থানে আমাদের এই বিক্রয় কার্যক্রম চালু থাকবে। প্রয়োজন হলে আমরা বিক্রয় কার্যক্রম বৃদ্ধি করব। যে পরিবহনগুলোয় এই পণ্য বিতরণ করা হবে, সেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্মত।’
পণ্যে যাতে ভেজাল না থাকে, পণ্য যাতে মেয়াদোত্তীর্ণ না হয়, পণ্য যাতে অস্বাস্থ্যকর ও জীবাণুযুক্ত না হয়, সে জন্য পোলট্রি ও ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি আহ্বান জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা ছাড়া কেউ এত কম মূল্যে এসব পণ্য বিক্রির পদক্ষেপ নেয়নি।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, গরুর মাংস, খাসির মাংস, দুধ ও ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি সাপ্লাই চেইন সচল রেখে মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজে প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে, সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী-উৎপাদনকারী-সাপ্লাই চেইন–সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এই ভ্রাম্যমাণ বিপণনব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২০০ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রয় করা হবে।