সিফাত-শিপ্রার জীবননাশের শঙ্কা স্ট্যামফোর্ড শিক্ষার্থীদের

পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সিদ্ধেশ্বরী, রমনা, ঢাকা, ৮ আগস্ট। ছবি: দীপু মালাকার
পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সিদ্ধেশ্বরী, রমনা, ঢাকা, ৮ আগস্ট। ছবি: দীপু মালাকার

পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে থেকে গ্রেপ্তার স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষার্থী ও চলচ্চিত্রকর্মী সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং শিপ্রা দেবনাথের জীবননাশের আশঙ্কা করছেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। তাঁরা দুই শিক্ষার্থীকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এই দুই শিক্ষার্থীর মুক্তিসহ চারদফা দাবিতে আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসের সামনে মানববন্ধন ও মিছিল করেছেন একদল শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়টির ফিল্ম ও মিডিয়া স্টাডিজ এবং স্ট্যামফোর্ড ফিল্ম স্টুডেন্ট সিনে ফোরামের উদ্যাগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

চার দফা দাবি তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র সানাউল কবীর সিদ্দিকী। ওই দুই শিক্ষার্থীর মুক্তি ছাড়াও অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার, ওই দুই শিক্ষার্থীকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি, দুই শিক্ষার্থী ও তাঁদের পরিবারকে সামাজিকভাবে নিরাপত্তা প্রদান। ওই দুই শিক্ষার্থী মুক্তি পেয়ে বাসায় না ফেরা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সিদ্ধেশ্বরী, রমনা, ঢাকা, ৮ আগস্ট। ছবি: দীপু মালাকার

মানববন্ধনে উপস্থিত একজন ছাত্র বললেন, মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের হত্যার ঘটনায় সরাসরি প্রত্যক্ষদর্শী হলেন সিফাত। এ জন্য জীবননাশের আশঙ্কা বেশি করছেন তাঁরা।

গত ৩১ জুলাই রাতে মেজর (অব.) সিনহা ও সাহেদুল টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন। বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাহেদুলকে। তিনি ও শিপ্রা দেবনাথ দুটি আলাদা মামলায় এখন কারাগারে।

আরও পড়ুন:-