বাসচাপায় বিউপির শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার ঘটনায় সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে আলোচনা শেষে বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার পর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সামনের সড়কে এসে তাঁরা এই ঘোষণা দেন।
এর আগে আজ বুধবার বেলা একটার দিকে বসুন্ধরা থেকে বিউপির শিক্ষার্থী তৌহিদ আল মারুফসহ ১০ জন শিক্ষার্থী মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করতে নগর ভবনে যান। আলোচনা শেষে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সামনের সড়কে আন্দোলনস্থলে তাঁরা আন্দোলনে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
মেয়রের কাছে তাঁরা তিনটি প্রধান দাবি তুলে ধরেন। দাবি তিনটি হলো-১. ঘাতক বাসচালকের সর্বোচ্চ শাস্তি, ২. সুপ্রভাত ও জাবালে নুর বাসের লাইসেন্স বাতিল ও ৩. ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ।
আলোচনার সময় মেয়র এসব দাবি মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের।
প্রতিনিধিদলের শিক্ষার্থীরা জানান, সাত দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে যদি সব দাবি না মানা না হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে, ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করা হবে এবং ঢাকা হবে বিক্ষোভের নগরী।
আলোচনায় প্রতিনিধিদলের শিক্ষার্থীদের জানানো হয়, পরিবারের ইচ্ছায় আবরারের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়নি। ফলে মামলাটি দুর্বল হয়েছে। ওই গাড়িচালকের সাত দিনের রিমান্ড শেষে অষ্টম দিনে চার্জশিট দেওয়া হবে, পরে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা হবে। সুপ্রভাত বাসের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এর আগে জাবালে নূরের যে বাসের চাপায় শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। সেই বাস ডাম্পিংয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য বাসগুলোর ফিটনেস ও চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই সড়কের চলার অনুমতি দেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে নর্দ্দা এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী। এ ঘটনার পর রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। তাঁরা সেখানে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। তাঁরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন। আজ সকাল থেকে আবার ঘটনাস্থলে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।