ঘটনাস্থলে রাত ১ টার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে। তাঁর ধারণা ভস্মীভূত ঘরের সংখ্যা ৪০ থেকে ৬০টির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার কথা। তিনি জানান, তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট অংশ নেয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ওখানে তিন শর মতো দোকানপাট ছিল। সব ই পুড়ে গেছে। তবে শেষ খবর অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চূড়ান্ত করতে পারেনি।
রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সোমবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে লাগা এই আগুন রাত ১ টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নেভাতে কাজ করেন স্থানীয়রা।
ঘটনাস্থল থেকে প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক জাহিদুল করিম জানিয়েছেন, যে স্থানে আগুন লেগেছে সেখানে বসতঘর ও দোকান দু–ই ছিল। আশপাশে প্রচুর টিনের চাল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এতটাই অতর্কিতে আগুন লাগে যে, দোকান বা ঘর থেকে তেমন কোনো মালামাল সরানো যায়নি বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
নাদিরা নামের এক নারী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর দোকানে কয়েক লাখ টাকার পণ্য ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের আরও বলেন, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১ টা ৫০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে সরু পথ ও পানির উৎসের অপ্রতুলতার কারণে তাদের বেগ পেতে হয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে বস্তিবাসী, সাধারণ জনগণ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের স্বেচ্ছাসেবী দল অংশ নেন। এর আগে ২০১৬ সালে সাততলা বস্তিতে আগুন লেগে শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে যায়।