সাংসদ একরামুলের বহিষ্কার চায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ

একরামুল করিম চৌধুরী
একরামুল করিম চৌধুরী

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে নোয়াখালী-৪ আসনের (সদর ও সুবর্ণচর) সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে সংসদ থেকে অপসারণ ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনটি বলেছে, স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বক্তব্য দিয়ে দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন একরামুল৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আজ শনিবার বিকেলে এক মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা এই দাবি জানান। তাঁদের আরও দুটি দাবি হলো, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করার অপরাধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের অবমাননা বন্ধ করতে অবিলম্বে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে ওবায়দুল কাদের ও আবদুল কাদের মির্জাকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলে মন্তব্য করেন সাংসদ একরামুল। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভিডিওটি একরামুলের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার দুপুরে আরেকটি লাইভ ভিডিওতে সাংসদ একরামুল দাবি করেন, আগের রাতে প্রচার করা ভিডিও বার্তায় তিনি ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে কিছু বলেননি। তিনি বলেছেন আবদুল কাদের মির্জা সম্পর্কে। এসব বিষয় নিয়ে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখাতে অনুরোধ করেন।

এ নিয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ডাকা মানববন্ধনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, ওবায়দুল কাদেরের যেকোনো কাজের গঠনমূলক সমালোচনা একরামুল করতেই পারেন৷ কিন্তু তাই বলে একজন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকারের বংশধর কখনোই বলতে পারেন না। সংবিধান পরিপন্থী বক্তব্যের মাধ্যমে শপথ ভঙ্গ করে সংসদ সদস্য পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন একরামুল।

মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ থেকে একরামুলকে বহিষ্কারের দাবিতে শিগগিরই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি এবং জাতীয় সংসদ থেকে অপসারণের দাবিতে স্পিকার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতির দলীয় কার্যালয় ও জাতীয় সংসদ অভিমুখে পদযাত্রা করব আমরা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে একরামুলকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে আমরা দেশব্যাপী আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করব।’

এই মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে অপরাজেয় বাংলার সদস্যসচিব এইচ রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।